ঘরের মাঠ কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা দলের বিপক্ষে দুইবার এগিয়ে গিয়েও ২-২ ড্র করে বার্সেলোনা। এর তিন দিন আগে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষেও দুইবার এগিয়ে গিয়ে পয়েন্ট হারিয়েছিল তারা। সব মিলে শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে ড্র করল গত দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
বার্সেলোনার টানা পয়েন্ট হারানোয় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ হাতে রেখে তারা আছে ১ পয়েন্টে এগিয়ে। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের মাঠে গেতাফেকে হারাতে পারলে পরিষ্কার ৪ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করবে প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি।
“আমি কেনোরকম হুমকি অনুভব করছি না।”
“এটা হতাশাজনক। দিনে দিনে আমাদের সমস্যা বাড়ছে। এই পয়েন্টগুলো হারানো মানে আমরা শিরোপা থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছি। তবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আতলেতিকো ভালো একটা দল।”
রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে বার্সেলোনা শুরুতেই এগিয়ে যায় আত্মঘাতী গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি থেকে ৭০০তম ক্যারিয়ার গোলে দলকে আবারও এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। দুইবারই পেনাল্টি গোলে স্কোরলাইনে সমতা আনেন সাউল নিগেস।
এই ম্যাচেও একাদশে সুযোগ পেয়ে আলো ছড়ান তরুণ মিডফিল্ডার রিকি পুস। শেষ দিকে বদলি নামেন আনসু ফাতি ও অঁতোয়ান গ্র্রিজমান। দিয়েগো সিমেওনের দলের বিপক্ষে ‘ভিন্ন কিছু’ করার পরিকল্পনা করেছিলেন সেতিয়েন।
“আমরা ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেছিলাম। ভেবেছিলাম, এর সুফল পাব। আতলেতিকো রক্ষণে খুব ভালো, খেলার জায়গা দেয় না।”
তবে পয়েন্ট হারালেও গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি সেতিয়েন।
“খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি খুশি। এটা ঠিক যে আমরা জিততে পারিনি; তবে অনেক সময় আমরা ম্যাচটি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম…আমি আমার খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টায় সন্তুষ্ট।”
লিগে বার্সেলোনার বাকি ছয় ম্যাচ, রিয়ালের সাতটি। আগামী রোববার নিজেদের পরের ম্যাচে বার্সেলোনা খেলবে ভিয়ারিয়ালের মাঠে।