এবারের লিগে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে হেরেছে ও ছয়টিতে ড্র করেছে বার্সেলোনা। পয়েন্ট হারানো ১১ ম্যাচের কেবল একটি ঘরের মাঠে; ডিসেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২-২ ড্র। প্রতিপক্ষের মাঠে সবশেষ গত শনিবার সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে দুবার এগিয়ে গিয়েও শেষ দিকে গোল খেয়ে ২-২ ড্র করে ফেরে কাতালান ক্লাবটি।
অ্যাওয়ে ম্যাচে কেন বারবার পয়েন্ট হারাচ্ছে বার্সেলোনা? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে কোচকে দেখিয়ে দেন ওই ম্যাচে জোড়া গোল করা লুইস সুয়ারেস।
“এর উত্তরের জন্য আপনাদের কোচদের প্রশ্ন করতে হবে। কারণ, তারা এগুলো পর্যালোচনা করেন।”
উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের অমন মন্তব্যের পর কোচ-খেলোয়াড় সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ডানা মেলতে শুরু করে। আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ওঠা গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন সেতিয়েন।
“এ সব ঘটেই থাকে। আমি এগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না। ম্যাচ জিততে না পারলে অনেকে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করার চেষ্টা করে।”
“আমাদের আসল ভাবনা দলের স্বাভাবিক আবহ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে, যা ভালো আছে। এটা সত্যি যে, কিছু বিষয়ে আমরা একমত নই। তবে এমন কিছু ঘটেনি যে আলাদা করে বলতে হবে।”
৬১ বছর বয়সী সেতিয়েন প্রায় ২০ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এর আগে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সামলেছেন রিয়াল বেতিসে। বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার আগে দুই মৌসুম ক্লাবটিতে ছিলেন তিনি। তাই লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেস-অঁতোয়ান গ্রিজমানদের নিয়ে গড়া তারকাসমৃদ্ধ ড্রেসিং রুম সামলানোয় তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বটে।
জানুয়ারিতে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার সময়ও এই একই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেতিয়েন নিজেও তা মেনে নিলেন।
“মানতে কোনো সমস্যা নেই যে এই মানের দল আমার কাছে নতুন এবং আমি এখনও শিখছি। দলের ভালোর জন্য খেলোয়াড়সহ আমাদের সবাইকে নতুন করে ভাবতে হবে। কারোর পক্ষেই সে যা চায়, তার সবকিছু করা সম্ভব না।”
“এটা একটা দল এবং সবাইকে সেভাবে ভাবতে হবে। কখনও কখনও দলের ভালোর জন্য নিজের ব্যক্তিগত চাওয়া ত্যাগ করতে হবে। আর এটাই আমাদেরকে জয় এনে দিবে।”
৩২ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা।