এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেই জয়ের নায়ক হয়ে গেলেন কাসেমিরো। প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডারের একমাত্র গোলে জিতেছে রিয়াল।
করোনাভাইরাসে অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর ‘নতুন রূপে’ ফেরা লিগে এই নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতল রিয়াল। ৩২ ম্যাচে ২১ জয় ও আট ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭১। দুইয়ে নেমে যাওয়া বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৯।
প্রতি তিন দিনে একটি করে ম্যাচ-ঠাসা সূচির চাপ যেন পড়তে শুরু করেছে। সেটাই হয়তো ফুটে উঠলো এদেন আজার-ভিনিসিউস জুনিয়রদের শরীরী ভাষায়। বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করলেও রিয়ালের খেলায় ছিল না চেনা ধার।
পয়েন্ট তালিকার তলানির দল এস্পানিওল বরং ভালো খেলেছে। লিগ টেবিলে দুই দলের মাঝে বিস্তর ফারাক থাকলেও তাই মাঠের খেলায় ছিল না এর প্রতিচ্ছবি।
বিরতির আগে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে রিয়াল আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে গেলেও তাদের খেলায় ছিল না চেনা ধার। বরং পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিকরা দুবার ভীতি ছড়ায় রিয়াল শিবিরে, যদিও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে কোর্তোয়াকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা।
৪৪তম মিনিটে ১৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে তাদের দুটি প্রচেষ্টা রুখে দেন স্বাগতিক গোলকিপার দিয়েগো লোপেস। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন আজার; ফাঁকায় বল পেয়ে তার নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান লোপেস।
পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ব্যাকহিলে পেছনে বল বাড়ান করিম বেনজেমা। আর ছোট ডি-বক্সের মুখ থেকে অনায়াসে ঠিকানা খুঁজে নেন কাসেমিরো।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই চিত্র; অধিকাংশ সময় বল দখলে নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখে, কিন্তু জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না তারা। উল্টো ৬৫তম মিনিটে জোরালো নিচু ফ্রি-কিকে গোল পেতে পারতো এস্পানিওল, ঝাঁপিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া।
শেষ ১০ মিনিটে কেউই তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। উভয় পক্ষেই ছিল ভুল পাসের ছড়াছড়ি। তবে শেষে গিয়ে জয় হাতছাড়া হতে বসেছিল সফরকারীদের; আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে হেড করেছিলেন মার্সেলো। বল পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রিয়াল।