সিটির হারে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ম্যাচে না থেকেও প্রবলভাবে ছিল লিভারপুল। ম্যানচেস্টার সিটি পয়েন্ট হারালেই যে হবে তাদের ৩০ বছরের বেদনাদায়ক অপেক্ষার অবসান। হলোও তাই। পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে হারিয়ে দিল চেলসি। শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2020, 09:11 PM
Updated : 25 June 2020, 10:24 PM

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বৃহস্পতিবার রাতে লিগ ম্যাচে শেষ দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া সিটিকে ২-১ গোলে হারায় চেলসি।  

৩১ ম্যাচে ২৮ জয় ও দুই ড্রয়ে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে লিভারপুল। ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট ৬৩।

১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সবশেষ লিগ জিতেছিল লিভারপুল। এবার শেষ হলো তাদের অপেক্ষা। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ১৯তম এবং প্রিমিয়ার লিগে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেল ১২৮ বছরের পুরনো ক্লাবটি। 

কাগজে-কলমে সিটির শিরোপা ধরে রাখার আশা বেঁচে থাকলেও বাস্তবিকভাবে তা শেষ হয়েছিল করোনাভাইরাস বিরতির আগেই। তবে লড়াই করে যাচ্ছিল দলটি। চেলসির বিপক্ষে শুরুটাও ভালো করেছিল তারা, কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলে দ্বিতীয়ার্ধে।

প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায় বল দখলে আধিপত্য করা সিটি। ডি-বক্সে অরক্ষিত ফের্নান্দিনিয়োর সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের হেড দারুণ নৈপুণ্যে কোনোমতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন কেপা আরিসাবালাগা।

৩২তম মিনিটে গোল পেতে পারতো চেলসি; কিন্তু একে একে ব্যর্থ হন তিন জন। কাছ থেকে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হওয়ার পর সতীর্থের পা ঘুরে বল পান রস বার্কলি, তবে তার শট সিটির এক জনের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। কর্নারে আন্দ্রেয়াসের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক এদেরসন।

প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। নিজেদের সীমানায় সিটির ফ্রি-কিক রুখে দেওয়ার পর পাল্টা আক্রমণে ওঠে স্বাগতিকরা। মাঝমাঠে বল ক্লিয়ার করতে পারতেন বাঁজামাঁ মঁদি ও ইলকাই গিনদোয়ান। তাদের ভুল বোঝাবুঝিতে বল ধরে দ্রুত ছুটে গিয়ে নিখুঁত শটে ঠিকানা খুঁজে নেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার পুলিসিক। 

দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ডে ব্রুইনের অসাধারণ ফ্রি-কিকে সমতায় ফেরে সিটি। তার বাঁকানো শট রক্ষণ প্রাচীরকে ফাঁকি দিয়ে গিয়ে বাঁ দিকের ওপর কোনা দিয়ে জালে জড়ায়। আরিসাবালাগার তেমন কিছুই করার ছিল না।

দুই মিনিট পর এগিয়েও যেতে পারতো তারা; কিন্তু পাল্টা আক্রমণে রাহিম স্টার্লিংয়ের শট পোস্টে বাধা পায়। ৭১তম মিনিটে গোলরক্ষককে কাটিয়ে পুলিসিকের টোকায় বল লক্ষ্যেই ছিল, একেবারে শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন কাইল ওয়াকার।

লিভারপুলের উৎসবের শুরু ৭৮তম মিনিটে; উইলিয়ানের সফল স্পট কিকে চেলসির আবারও এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। আব্রাহামের শট ফের্নান্দিনিয়োর হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

হ্যান্ডবলের জন্য ফের্নান্দিনিয়ো লাল কার্ড দেখলে ম্যাচে ফেরার কাজটা অনেক কঠিন হয়ে যায় সিটির। লিভারপুলকে অপেক্ষায় রাখতে বাকি সময়ে জাল অক্ষত রেখে আরও দুটি গোল করতে হতো তাদের। ১০ জনের দল নিয়ে কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি সিটি।

৩১ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লেস্টার সিটি। দারুণ এই জয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবধান ১ পয়েন্টে নিয়ে এলো চেলসি।

দিনের আরেক ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরেছে আর্সেনাল। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে তারা।