নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার ৩-০ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে দুই গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মার্সিয়াল। নতুন শুরুর পর নিজেদের প্রথম ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দলটি।
সব প্রতিযোগিতা মিলে এ নিয়ে টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত রইল ইউনাইটেড। গত নভেম্বরে লিগে প্রথম দেখায় শেফিল্ডের মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল তারা।
টটেনহ্যাম ম্যাচ থেকে শেফিল্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনেন ইউনাইটেড কোচ। গত ৩০ সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে নামেন ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবা।
সপ্তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন মার্সিয়াল। ডি বক্সের ভেতর ডান দিক থেকে মার্কাস র্যাশফোর্ডের বাড়ানো বল খুব কাছ থেকে জালে পাঠান এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
অষ্টাদশ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের ফ্রি-কিক পাঞ্চ করে ফেরান শেফিল্ড গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর ফের্নান্দেসের কর্নার থেকে হ্যারি ম্যাগুইয়ার হেডে বল জালে পাঠালেও গোল বাতিল করেন রেফারি। হেড করার সময় শেফিল্ডের এক খেলোয়াড়কে ম্যাগুইয়ার ধাক্কা মারায় ফাউলের বাঁশি বাজান তিনি।
৪৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্সিয়াল। ডান দিক থেকে অ্যারন ওয়ান-বিসাকার নিচু ক্রসে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত ইউনাইটেডের। ডি বক্সের ভেতর থেকে ইংলিশ ফরোয়ার্ড ম্যাসন গ্রিনউডের জোরালো শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।
৭৪তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মার্সিয়াল। র্যাশফোর্ডের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের ভেতরে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান তিনি।
২০১৩ সালে ইউনাইটেডের সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অবসরের পর দলটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক করলেন মার্সিয়াল।
শেষ পর্যন্ত তিন গোলের ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে সেভাবে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সফরকারীরা। লক্ষ্যে শট নিতে পারে কেবল একটি। ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়াকেও তাই তেমন কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি।
৩১ ম্যাচে ১৩ জয় ও ১০ ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আগের মতো পঞ্চম স্থানেই আছে ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে শেফিল্ড।