রেফারি রিয়ালের পক্ষ নেয়, এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ জিদান

রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচের আগের দিন যে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদানকে, ম্যাচ শেষেও ঘুরেফিরে এলো সেই একই প্রসঙ্গ-রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবং যা নাকি সবসময় যায় তার দলের পক্ষে। বারবার একই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন এই ফরাসি কিংবদন্তি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2020, 11:32 AM
Updated : 22 June 2020, 11:41 AM

ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তিনি, তাকেই কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হয়। মাঠে কি তার দল কিছুই করে না?

লা লিগায় রোববার রাতে সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফেরে রিয়াল। সের্হিও রামোস ও করিম বেনজেমার গোলে জিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে জিদানের দল।

গত বৃহস্পতিবার ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে রিয়ালের ৩-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে প্রথমে বল জালে পাঠিয়েছিলেন ভালেন্সিয়ার রদ্রিগো মরেনো। কিন্তু অফসাইডের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে বলেছিলেন, রেফারির সিদ্ধান্ত রিয়ালের পক্ষে যায়। সোসিয়েদাদ ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সরাসরি জবাব দেওয়া থেকে এড়িয়ে যান জিদান।

“যে যা ভাবতে চায়, ভাবতে পারে। আমরা যা করতে চাই, সেটা হলো মাঠে নেমে পারফর্ম করা।”

আর সোসিয়েদাদ ম্যাচ শেষে জিদানকে প্রশ্ন করা হয় এই ম্যাচে রেফারির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে, যার প্রতিটিই গেছে রিয়ালের পক্ষে। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

“দিন শেষে মানুষ কেবল রেফারিদের নিয়ে কথা বলছে, যেন মাঠে আমরা কিছুই করিনি। বিষয়টি আমাকে খুব বিরক্ত করে।”

“কিন্তু মানুষের মন্তব্য আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা খেলে ম্যাচ জিতি এবং আজও এটাই করেছি। আমরাই জয়ের যোগ্য ছিলাম।”

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভিনিসিউস জুনিয়র ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রামোস।

৬৭তম মিনিটে আদনান ইয়ানুজাইয়ের দূরপাল্লার নিচু শট থিবো কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। কিন্তু ভিএআর দেখে মিকেল মেরিনো ছোট ডি-বক্সের কাছে অফসাইডে থাকায় গোল দেননি রেফারি। যদিও বলে তার কোনো ছোঁয়া ছিল না এবং তিনি খেলার কোনো চেষ্টাও করেননি। বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্তের পরপরই দ্বিতীয় গোলটি হজম করে স্বাগতিকরা।

৭০তম মিনিটে করা বেনজেমার ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোল আসে ভিএআর সিদ্ধান্তে। সতীর্থের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় বল তার কাঁধে না হাতে লেগেছে, ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না। এই জন্য নেন ভিএআরের সাহায্য। পরে বাজান গোলের বাঁশি।

বিতর্কের সৃষ্টি করা রেফারির সব সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন জিদান।

“আমি খেয়াল করিনি, তবে আমাকে বলা হয়েছে, পেনাল্টির সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক এবং বেনজেমার গোলটিও ছিল ন্যায্য। আমি বিতর্কে জড়াতে চাই না, কারণ ওটা রেফারির কাজ। আমি কেবল আমাদের প্রাপ্য জয় নিয়ে ভাবতে চাই।”

“আমি ফুটবল আর ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি। অন্য কোনো ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।”

কোভিড-১৯ মহামারীর অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর ফিরে তিন ম্যাচেই জয় পেল রিয়াল। বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় তালিকার শীর্ষে উঠেছে জিদানের দল। তবে শিরোপা নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মনে করেন জিদান।

“৯ পয়েন্টের মধ্যে ৯ পয়েন্টই আমরা পেয়েছি। কিন্তু এখনও আমরা কিছুই জিতিনি। লিগের শেষ পর্যন্ত লড়াইটা কঠিন হবে। আমরা সবসময় আরও ভালো করতে চাই…আজ আমরা জয়ের জন্য মরিয়া একটা দলের খেলা দেখলাম।”