২০ বছর বয়সী বাঁধন জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের এনায়েত নগর গ্রামের আনোয়ার কাদিরের ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনূর্ধ্ব-১৮ দলে ও সিটি ক্লাবের হয়ে খেলা এই তরুণের স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতানোর।
দুঃসময় যেন পিছু ছাড়ছে না তার। ২০১৮ সালে বয়সভিত্তিক দলের ক্যাম্পে সুযোগ পেলেও জন্ডিস আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাকে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আপাতত বাড়িতেই আছেন।
বাঁধনের মা বিলকিস বেগমের দুটি কিডনিই দীর্ঘদিন যাবত অকেজো। প্রায় তিন বছর ধরে মাকে নিয়ে দৌড়াচ্ছেন হাসপাতালে। এতোদিন ফুটবল খেলার আয় থেকে মায়ের চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও কভিড-১৯ মহামারী সেই পথ বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধ হওয়ার পথে মায়ের চিকিৎসাও।
তাই মায়ের অবস্থা আরোও দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করাতে লাগে ১০ হাজার টাকা। এ টাকা জোগাড় করা এখন তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঁধনের মাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে চাইলে প্রয়োজন নতুন কিডনি সংযোজনের। কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যয় বাঁধনের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়।
এই তরুণ জানান, অল্পস্বপ্ল সহযোগিতাও পেয়েছেন তবে সেটা মায়ের চিকিৎসার জন্যে যথেষ্ট নয়। তার পরিবারে রয়েছে ছোট একটি করে ভাই ও বোন। সহযোগিতা করার মতো আর কেউ না থাকায় তার ফুটবল খেলার আয় থেকেই চলে তাদের সংসার। তাই মাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের দিকে
“আমরা স্বপরিবারে গাজীপুরে বসবাস করি। চিকিৎসকরা সপ্তাহে তিনবার কিডনি ডায়ালাইসিস দেওয়ার কথা বললেও আর্থিক সমস্যার কারণে দু’বার ডায়ালাইসিস করা হয়। কিডনি ডায়ালাইসিস করলে একদিন ভালো থাকে। পরদিন আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এভাবেই দিন কাটছে আমাদের।”
“চিকিৎসরা বলছে আপাতত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারলে আমার মা সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু, একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে গেলে ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল স্যারের দেয়া ১ লাখ টাকাসহ মোট আমাদের কাছে তিনলাখ টাকা আছে। যদি আমার মাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন, তাহলে আমার মাকে আরও কিছুদিন মা বলে ডাকতে পারতাম।”
সুস্থ হয়ে ছেলের খেলা মাঠে বসে দেখার আকুতিও জানিয়েছেন তার মা।
“আমি বাঁচতে চাই। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ, আমাকে আপনারা বাঁচান। আমার তিনটা সন্তান। আমি না থাকলে ওদের দেখার কেউ নেই। আমার খুব আশা স্টেডিয়ামে গিয়ে আমার ছেলের ফুটবল খেলা দেখবো। আমি আমার ছেলের খেলা দেখতে চাই।”
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানিয়েছে নিজেদের মতো করে বাঁধনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা।
“এটা একটা মানবিক বিষয়। আমরা বাঁধনকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি, অন্যকেও উৎসাহিত করছি।”
সহযোগিতার জন্য বিকাশ নাম্বার- 01616767689, 01858333827