বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘নতুন শুরুতে’ পয়েন্ট চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে নতুন চুক্তির পর ইংল্যান্ডে বসেই আগামী দিনের ছক কষতে শুরু করেছেন জেমি ডে। তার পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের পরের চার ম্যাচ থেকে পয়েন্ট তুলে নেওয়ার বিষয়টি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2020, 01:08 PM
Updated : 18 June 2020, 01:08 PM

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত মার্চ থেকে স্থগিত হয়ে আছে ফিফার প্রতিযোগিতাগুলো। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আগামী অক্টোবর থেকে মাঠে খেলা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবলের বিশ্ব সংস্থাটি। ৮ অক্টোবর আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে পুনরায় বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভিডিও কনফারেন্সে এসে বৃহস্পতিবার আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন ডে। বাছাইয়ের গত চার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ভারতের সঙ্গে ড্রয়ে পাওয়া ১ পয়েন্ট। বাকি তিন ম্যাচে হার।

পরের চার ম্যাচের তিনটি নিজেদের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ; আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে। আরেকটি ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের বিপক্ষে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ইউরোপের ফুটবল ফিরেছে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলোতেও দর্শক থাকবে না। ‘হোম ম্যাচে’ সমর্থকদের পাশে পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় হতাশ ডে।

“সামনে আমাদের চারটি ম্যাচ আছে; এর মধ্যে তিনটি হোম ম্যাচ। এখান থেকে কিছু পয়েন্ট পেতে চাই। যদিও জানি, কাজটা সহজ নয়।”

“আফগানিস্তান ও ভারত দুটিই কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু তাদের বিপক্ষে পয়েন্ট পাব না, এই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামা যাবে না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন, ওদের বিপক্ষে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারি। যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হবে; সেক্ষেত্রে হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া হবে না।”

খেলোয়াড়, কোচের কথায় ঘুরেফিরে আসে কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ড্র করা ম্যাচটি। ভারতের মাঠে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও শেষ দিকে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া হয়েছিল দলের। ডে ওই ম্যাচের প্রসঙ্গ টানলেন আবারও।

“ভারতের বিপক্ষে আমাদের ভালো সুযোগ ছিল। সামনের ম্যাচগুলোতে যদি ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে মাঠে নামি, তাহলে কঠিন হলেও জয় পাওয়া সম্ভব। নেতিবাচক চিন্তা করে নামলে তা হবে প্রতিপক্ষের জন্য ভালো।”

অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে ক্যাম্প শুরুর কথা জানিয়েছে বাফুফে। তবে ডে ইংল্যান্ডে বসেই জামাল-জীবনদের ফিটনেস নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানালেন বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতির জন্য সপ্তাহ ছয়েক সময় দরকারের কথাও।

“ছেলেরা ঘরে বসে ফিটনেস নিয়ে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। নির্দেশনা দিচ্ছি। আসলে যে কোনো প্রাক মৌসুম হয় চার থেকে ছয় সপ্তাহের। কেননা, দীর্ঘায়িত হলে অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সেরা সুযোগ-সুবিধা পেলে ছয় সপ্তাহ যথেষ্ট।”

বাংলাদেশের কোচ হিসেবে গত দুই বছর মূল্যায়ন করেছেন ডে। তুলনামূলকভাবে প্রাপ্তিই বেশি বলে মনে করছেন এই ইংলিশ কোচ। এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারানো, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা, ভারতের সঙ্গে ড্রকে প্রাপ্তি মনে করা কোচের হতাশা গত এসএ গেমসের ফাইনালে উঠতে না পারা।