অনলাইনে সাবিনা-কৃষ্ণাদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কোচ

করোনাভাইরাসের কারণে ‘ছুটি’ পেয়ে বাড়িতে গেলেও শুরু থেকে সাবিনা-কৃষ্ণারা ছিলেন কোচ গোলাম রব্বানীর তদারকিতে। বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় মেয়েদের ফিটনেস নিয়ে কাজের পরিধি বাড়ানোর কথা ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2020, 11:13 AM
Updated : 14 June 2020, 11:34 AM

ছেলেদের লিগ বাতিল হলেও মেয়েদের লিগের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সূচি অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের পর সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথাও রয়েছে।

পরিস্থিতির উন্নতি হলে যেকোনো মুহূর্তে মাঠে ফিরতে পারে এই প্রতিযোগিতাগুলো। বাফুফের রোববার দেওয়া ভিডিও বার্তাটিতে রব্বানী তাই মেয়েদের হারানো ফিটনেস পুনরুদ্ধারে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার কথা জানান।

“গত তিন-চার বছর মেয়েরা খুবই ব্যস্ত সময় পার করেছে এবং আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি মেয়েদের ফিটনেস সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার। হঠাৎ আসা মহামারীতে সেটা থমকে গেছে। গত ১৭ই মার্চে আমাদের শেষ অনুশীলন হয়েছে। এরপর তারা যার যার বাড়িতে গিয়েছে।”

“প্রতিনিয়তই আমি ও আমার কোচিং স্টাফ এবং ফুটবল ফেডারেশন মেয়েদের খোঁজ নিচ্ছি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে, টেলিফোনে তাদের সঙ্গে যোগাগযোগ করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, কোনো সমস্যা হলে জানাতে। ফিজিক্যালি না থাকলেও ভার্চুয়ালি আছি। তাদের ফিটনেস বাড়ানো নিয়ে কাজ করছি।”

খেলার বাইরে থাকায় ফিটনেসে ঘাটতি হওয়ার বাস্তবতা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে মেনে নিচ্ছেন কোচ।

“আগেও দেখা গেছে ১৫ দিন অনুশীলনের বাইরে থাকলে মেয়েদের ফিটনেস লেভেল কমে যায়। দুই মাসেরও বেশি বাইরে থাকায় তাই স্বাভাবিকভাবে কমেছে। মানসিকভাবে ভালো থাকাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মেয়েদের বলেছি গ্রামের বাড়িতে উঠান আছে, সেখানে ভাসকুলার ট্রেনিং, রানিং করার জন্য। এভাবে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, যাতে ফিটনেস লেভেল কাছাকাছি মানে চলে আসে।”

সাফের প্রতিযোগিতাগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে একেবারে অলস বসে থাকতে চাইছেন না রব্বানী। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, কাজ চালিয়ে যেতে চান নিজের মতো করে।

“সিডিউল অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের পরে অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। মহামারীর কারণে এর পরিবর্তন হবে কিনা, নিশ্চিত না। তবে আশা করছি, মহামারীর পরে এটা শুরু হলে সবাই মিলে চেষ্টা করে সাফল্য ধরে রাখতে পারব।”

“মেয়েদের আগে বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেইনি। তবে ফিটনেসের জন্য নিজের মতো করে কাজ চালিয়ে নিতে বলেছি। বর্তমানে বিধিনিষেধ কিছুটা কমেছে। তাই মেয়েদের বলেছি নিয়ম মেনে উঠানে হোক কিংবা বাড়ির পাশের রাস্তায় ভোরের দিকে যখন ফাঁকা থাকে, তখন দৌড়াতে। যাতে খেলা ফিরলে ফিটনেসের ঘাটতির জন্য তাদের ভুগতে না হয়।”