ক্লাব ক্যারিয়ারে লম্বা একটা সময় ফ্রান্সের পিএসজিতে খেলার পর ২০১৮ সালে সেরি আর দল রোমায় পাড়ি জমান পাস্তুরে। ইতালিয়ান লিগের দলটির হয়ে এ পর্যন্ত খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩০ ম্যাচ।
২০০৯ সালে পালের্মোয় যোগ দেওয়ার পর ইউরোপের ফুটবলে পা পড়ে পাস্তুরের। এ দলটির হয়ে ৮২ ম্যাচে ১৬টি গোল করেন। অবদান রাখেন সতীর্থদের ১৬ গোলে। এরপর যোগ দেন লিগ ওয়ানের দল পিএসজিতে।
পিএসজির হয়ে খেলা সাত বছরে একজন খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেড়ে ওঠার কথা আর্জেন্টিনার টিওয়াইসি স্পোর্টসকে জানিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
“সেরা হওয়ার মানসিকতা আমার কখনই ছিল না। যখন শিশু ছিলাম, তখন যেমন আনন্দের জন্য ফুটবল খেলতাম এখনও তাই।”
“(পিএসজিতে) আমি অনেকটা বেড়ে উঠেছিলাম। বিশ্বের নামকরা কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলেছি। এই পর্যায়ের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে লকার রুম ভাগাভাগি করা এবং এমন একটি ক্লাবে সাত বছর থাকা দারুণ ছিল।”
পিএসজির তারকা খেলোয়াড় নেইমারের মানসিকতা নিয়েও কথা বলেছেন পাস্তুরে। জানিয়েছেন, লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে টপকে সেরা হওয়ার মানসিকতা আছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের।
“সে সেরা হতে চায় এবং তার সেটা হওয়ার সুযোগ আছে। সে প্রচুর অনুশীলন করে। যদি ফিট থাকে, তাহলে যেকোনো ম্যাচ নেইমার একাই জেতাতে পারে।... আমরা তার মেসি ও ক্রিস্তিয়ানোর পর্যায়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলছি। তার সে সম্ভাবনা আছে।”
আর্জেন্টিনার হয়ে ক্যারিয়ারটা রঙিন হয়নি। ক্লাব পর্যায়েও সেরাদের কাতারে উঠে আসতে পারেননি। এতদিন পর পাস্তুরের মনে হচ্ছে, আরও বেশি কিছু করতে পারতেন তিনি।
“হ্যাঁ, আমিও তাই মনে করি, অনেক লোকেও তাই বলে। যখন আমি প্যারিসে গেলাম, পালের্মোতে খুবই ভালো একটা বছর কাটিয়ে এসেছিলাম। মাঠে আমি ছিলাম নেতা।”
“জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো খেলোয়াড় এলো, যে দলটার অনেক দায়িত্ব নিল। তারকার মতো খেলা থেমে গেল আমার। সবসময় আমার চিন্তা ছিল টিকে থাকার। বিশ্বের সেরা হওয়ার ভাবনা কখনই ছিল না।”