রিয়ালে 'শেষ পর্যন্ত লড়তে' শিখেছেন মার্সেলো

রিয়াল মাদ্রিদে ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু শিখেছেন মার্সেলো। জিতেছেন ভুরি ভুরি শিরোপা। সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা হলো নিজের সবটুকু দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া, জানালেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আরও শিরোপার জন্য মরিয়া হওয়া।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2020, 11:23 AM
Updated : 4 June 2020, 11:23 AM

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের দলটির দ্বাদশ ইউরোপ সেরা ট্রফি জয়ের তিন বছর পূর্ণ হলো গত বুধবার। রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শিরোপা ধরে রাখার কীর্তি গড়ার দিনের স্মৃতিচারণ করেন ব্রাজিলিয়ান লেফট ব্যাক মার্সেলো।

“দ্বাদশ শিরোপা জয় অনেক ভালো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। আমাদের শিরোপা ধরে রাখতে হতো। জানতাম, টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতে আমরা ইতিহাস গড়তে পারি। জেতার যে চাপ ছিল, সেটি আমার মনে আছে। ম্যাচে আমরা একটু ভুগতেছিলাম, তবে খেলছিলাম খুব ভালো। জয়ের জন্য যা কিছু করার করেছিলাম এবং আমরা দারুণ খুশি হয়েছিলাম।”

২০১৪ সালের পর ২০১৬ সালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৭ সালে কার্ডিফের ফাইনালে ইউভেন্তুসের বিপক্ষে শুরুতে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। মারিও মানজুকিচের গোলে সমতায় ফেরে ইতালিয়ান ক্লাবটি। দ্বিতীয়ার্ধে রাজত্ব করে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা, দেয় আরও তিন গোল। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে স্প্যানিশ ক্লাবটি।

আর এর পরের বছর কিয়েভে লিভারপুলকে হারিয়ে টানা তৃতীয় ও পাঁচ বছরে নিজেদের চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে রিয়াল। আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আরও শিরোপা জয়ের তাড়নাই রিয়ালের মূলমন্ত্র, জানালেন ৩২ বছর বয়সী মার্সেলো।

“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শিরোপা জয়ের পর আমরা সন্তুষ্ট হই না এবং ওই শিরোপা নিয়ে পড়ে থাকি না। আমরা সবসময় আরও জয়ের ব্যাপারে ভাবি, এমনকি টানা তিন শিরোপাও জিতলেও।”

ছবি: রিয়াল মাদ্রিদ

প্রায় ১৪ বছর আগের কথা স্মরণ করেন মার্সেলো, যখন ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেজ থেকে এসেছিলেন রিয়ালের। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়ে উঠেছেন ক্লাবের অন্যতম ভরসার নাম।

“মাদ্রিদে আসার পর ক্লাবটি আমাকে শিখিয়েছে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে…এ বিষয়ে আমি রিয়াল মাদ্রিদে অনেক শিখেছি। যখন মনে হয়, আমরা সবকিছু জিতেছি তখন আবারও জিততে চাই। এটাই আমাদের ভাবনার ধরণ।”

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রায় তিন মাসের বিরতির পর আগামী সপ্তাহে আবারও শুরু হচ্ছে লা লিগা। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকা, অনুশীলনে ফেরা ও প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল শুরু করা প্রসঙ্গেও নিজের ভাবনা তুলে ধরেন ২০০৬ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়া মার্সেলো।

“আমরা উন্নতি করছি। অনুশীলন, ফুটবল ও সতীর্থদের সঙ্গে যোগাযোগবিহীন সময়টা ছিল খুব কঠিন। আমাদের সামনে এখন ১১টি ফাইনাল এবং জয়ের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিতে হবে। আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা শিরোপার জন্য খেলছি, আমরা সবকিছু জয়ের চেষ্টা করব। আবারও অনুশীলন করতে পেরে এবং লা লিগায় খেলতে যাচ্ছি জেনে আমরা রোমাঞ্চিত।”

আগামী ১১ জুন পুনরায় শুরু হচ্ছে স্প্যানিশ লা লিগা। লিগে বাকি আছে ১১ রাউন্ডের খেলা। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে রিয়াল।

১৪ জুন ঘরের মাঠে এইবারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লিগে মাঠে ফিরবে স্পেনের সফলতম ক্লাবটি।

কোপা দেল রে থেকে বিদায় নেওয়া দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারে ২-১ ব্যবধানে। ইউরোপিয়ান শীর্ষ এই প্রতিযোগিতা পুনরায় শুরুর চেষ্টা করছে উয়েফা।