সরকারের নির্দেশনা মেনে এপ্রিলের শেষ দিকে লিগ ওয়ান বাতিলের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। আর ম্যাচ প্রতি পয়েন্টের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় পিএসজিকে।
লিগ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অনেক ক্লাব আইনি লড়াইয়ের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। লিঁও ও ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট জঁ-মিশেল উলাস নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
যুক্তি হিসেবে তারা তুলে ধরেছেন ইউরোপের বাকী শীর্ষ চার লিগের কথা। জার্মান বুন্ডেসলিগা মাঠে ফিরেছে গত ১৬ মে। আগামী মাসে লা লিগা ও প্রিমিয়ার লিগের মাঠে ফেরা অনেকটাই নিশ্চিত। প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে ইতালিয়ান সেরি আ লিগের ক্লাবগুলোও।
তবে দেশমের মতে, ফরাসি কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। ফরাসি একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুন্ডেসলিগার কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরেন তিনি। তবে কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণের শর্ত সবার জন্যে এক নয় বলেও মনে করেন তিনি।
“জার্মানিতে ফুটবল ফেরার পর আমি বুন্ডেসলিগা দেখেছি। এটা অবশ্যই ফুটবলের মতই দেখাচ্ছে। আমি খেলার স্বাভাবিক গতি বা তুমুল লড়াইয়ের বিষয়ে কথা বলছি না, তবে কিছু বিষয় আমার কাছে বেমানান মনে হয়েছে।”
“খেলোয়াড়রা ফুটবলের সব নিয়ম মেনেই খেলছে, ট্যাকল করছে। অথচ সাইডলাইনে দেখছি মাস্ক পরে বদলি খেলোয়াড়রা দুই মিটার দূরত্বে বসে আছেন। সত্যি বলতে, আমি বুঝি না-তারা একই মাঠে রয়েছে, যে কোনো সময় খেলতে নামবে। সাইডলাইনে রিস্কটা বেশি না-কি? এটা অযৌক্তিক। আমি এটা পছন্দ করি না।”
লা লিগা ও প্রিমিয়ার লিগ ফেরানোর পরিকল্পনার পেছনে আর্থিক কারণটাই সবচেয়ে বড় বলে মনে করছেন ৫১ বছর বয়সী এই ফরাসি।
“স্পেন ও ইংল্যান্ডে দেখুন। ফুটবলের বড় দেশ দুটি লা লিগা ও প্রিমিয়ার লিগ ফেরানোর পরিকল্পনা করছে। অথচ তারা নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি, যা থেকে তুলনামূলক কম আয় হয়। এ থেকেই সবকিছু বোঝা যায়।”
লিগ পুনরায় শুরু হলে প্রস্তুতির যথেষ্ঠ সময় না পাওয়ায় খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতা দেশম কোচ হিসেবে জিতেছেন ২০১৮ বিশ্বকাপ। ফ্রান্স জাতীয় দলের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ ২০২২ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।