গত বছরের জুলাইয়ে, রিয়াল-আর্সেনাল প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে হাঁটুতে ওই চোট পান আসেনসিও। মাঠ ছাড়তে হয় স্ট্রেচারে করে। এই মৌসুমে আর মাঠে নামতে পারবেন না বলেই ধারণা ছিল। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অবশ্য সেটিই হতো। তবে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে লা লিগার এখনও বাকি ১১ রাউন্ড। বাকি আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। সব মিলে চোট থেকে সেরে ওঠার পথে থাকা আসেনসিওকে গুরুত্বপূর্ণ শেষ সময়ে পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা জেগেছে রিয়ালের।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার সোমবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত হাঁটুর সব পরীক্ষায় উতরে গেছেন আসেনসিও। কোনো তাড়াহুড়ো ছাড়াই সেরে ওঠার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবেন। মূলত মিডফিল্ডার হলেও আক্রমণভাগেও খেলতে পারদর্শী ২৪ বছর বয়সী আসেনসিও মাঠে ফেরার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী।
দুই মাস ঘরবন্দি থাকার পর গত সপ্তাহে অনুশীলনে ফিরেছে রিয়াল। তিন দিন আগে ক্লাবের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে এসেছিলেন ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস। কোচ জিনেদিন জিদান ও অধিনায়ক সের্হিও রামোসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন তিনি। লম্বা সময় ধরে কথা বলেন আসেনসিওর সঙ্গে।
২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান সুপার কাপে সেভিয়ার বিপক্ষে রিয়ালের জার্সিতে অভিষেক হয় আসেনসিওর। সেই ম্যাচের ২১ মিনিটেই ক্লাবের হয়ে প্রথম গোল করেন তিনি। মাঝের ব্যর্থতা দূরে ঠেলে সাবেক মায়োর্কা খেলোয়াড়ের সামনে এখন সময় এসেছে কোচের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার।
স্পেনের কোচ লুইস এনরিকেও আসেনসিওর খেলার বড় ভক্ত। জাতীয় দলের কোচকে নিশ্চয় মুগ্ধ করতে চাইবেন আসেনসিও। এখন অবশ্য তার প্রথম লক্ষ্য, মাঠে ফেরা এবং রিয়ালকে লিগ শিরোপা জেতাতে সাহায্য করা।
স্থগিত লা লিগা মাঠে ফিরতে পারে আগামী ১১ জুন। লুকা ইয়োভিচ ও মারিয়ানো সে সময় চোট থেকে সেরে না উঠলে দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে পারেন আসেনসিও।
সব মিলে আসেনসিও যেন এখন রিয়ালের মৌসুমের মাঝপথে কেনা কোনো খেলোয়াড়, যিনি অপেক্ষায় আছেন নতুন শুরুর।