লিগ ফেরার ম্যাচে ডর্টমুন্ডের গোল উৎসব

শঙ্কা-উদ্বেগ তো আছেই। সেগুলোকে ছাপিয়ে এক রকমের উৎসবও ছিল। লম্বা বিরতির পর বুন্ডেসলিগার মাঠে ফেরার উদযাপন কী দুর্দান্তভাবেই না করল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। শালকেকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে রাঙিয়ে রাখল লিগ পুনরায় শুরুর দিনটা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2020, 03:20 PM
Updated : 16 May 2020, 03:53 PM

দুই মাস আগে যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখানেই যেন শুরু করলেন আর্লিং হলান্ড। গোল করলেন রাফায়েল গেররেইরো ও তোরগ্যান আজার। সিগনাল-ইদুনা পার্কে শনিবারের ম্যাচে দাপুটে ফুটবলে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছে ডর্টমুন্ড।

শিরোপাধারী বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ব্যবধান ১ পয়েন্ট নামিয়ে আনল সবশেষ ২০১১-১২ মৌসুমে বুন্ডেসলিগা জয়ী দলটি।

করোনাভাইরাস আতঙ্ক দূরে ঠেলে দুই মাস পাঁচ দিন পর মাঠে ফিরল জার্মানির শীর্ষ লিগ। একই সময়ে মাঠে গড়ায় মোট পাঁচটি ম্যাচ। মূল আকর্ষণ যদিও ছিল ডর্টমুন্ড-শালকে ম্যাচ ঘিরে। প্রথম ১৪ রাউন্ড শেষে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য ছিল মাত্র ১ পয়েন্টে। তবে পরের ১১ ম্যাচের দুর্দান্ত পথচলায় ব্যবধান দাঁড়িয়েছিল ১৪ পয়েন্ট। এবারে পার্থক্য বেড়ে হলো ১৭।

জানুয়ারিতে দলে আসা হলান্ডের গোলে ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডান দিক দিয়ে আজারের ডি-বক্সে বাড়ানো ক্রস ফাঁকায় পেয়ে দারুণ এক টোকায় ঠিকানা খুঁজে নেন নরওয়ের তরুণ এই ফরোয়ার্ড। আসরে তার গোল হলো ১০টি। নতুন ঠিকানায় সব প্রতিযোগিতা মিলে ১৩টি।

বিরতির ঠিক আগে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গেররেইরো। গোলরক্ষকের ভুল পাসে সতীর্থের পা ঘুরে পাওয়া বল বাঁ দিক থেকে জাল খুঁজে নেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিট ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জালে বল পাঠান আজার। আর ৬৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে হলান্ডের দারুণ পাস পেয়ে সাইড-ফুট ফ্লিকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন গেররেইরো।

মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়রা বাদে সবার মুখে ছিল মাস্ক, অনেকের হাতে গ্লাভসও দেখা যায়। এমনকি গোল উদযাপনেও ছিল বাড়তি সতর্কতা, কনুইয়ে কনুই মিলিয়ে অভিনন্দন জানায় একে অপরকে।

দিনের অন্য ম্যাচে আউক্সবুর্ককে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে ভলফসবুর্ক, হফেনহাইমের মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে হের্টা বার্লিন। ফরটুনা ডুসেলডর্ফ-পাডেরবর্ন ও লাইপজিগ-ফ্রেইবুর্ক ম্যাচ ড্র হয়েছে।

২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও চার ড্রয়ে বায়ার্নের পয়েন্ট ৫৫। এক ম্যাচ বেশি খেলা ডর্টমুন্ডের ১৬ জয় ও ছয় ড্রয়ে পয়েন্ট ৫৪। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে লাপজিগ।

আটে নেমে যাওয়া শালকের পয়েন্ট ৩৭।