করোনাভাইরাস: তৃণমূলের খেলোয়াড়দের পাশে ইপিলিয়ন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দুঃসময়ের মধ্যে থাকা তৃণমূলের খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে ইপিলিয়ন ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির পক্ষ থেকে নগদ অর্থ, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2020, 10:22 AM
Updated : 13 May 2020, 10:22 AM

করোনাভাইরাসের কারণে খেলাধুলা বন্ধ থাকায় তৃণমূলের খেলোয়াড়, কোচদের অনেকে পড়েছেন বিপদে। দুঃসময়ে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে একটু হলেও স্বস্তি ফিরেছে তাদের মনে। তৃণমূলের ফুটবল খেলোয়াড়, কোচ, হ্যান্ডবল, সাইক্লিং, বিভিন্ন একাডেমির খেলোয়াড়-কোচ-কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে স্টেডিয়ামের বলবয়রাও পেয়েছে ইপিলিয়ন ফাউন্ডেশনের উপহার।

খুলনার রূপক ফুটবল একাডেমি দলের কোচ মোহাম্মদ ইতি জানালেন কৃতজ্ঞতা। পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে ফ্রেন্ডস সোশাল ওয়েলফেয়ারের হয়ে খেলা সাকিব যারপর নাই খুশি ঈদের আগে উপহার পেয়ে, “এই বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোয় ইপিলিয়ন গ্রুপকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।”

গত বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বন্যা জানালেন, যে অর্থ পেয়েছেন দলের সবাই মিলে ভাগ করে নেওয়ার কথা।

“আমি ও রুনা যেটা পেয়েছি, ওটা নিয়ে স্যারের কাছে যাচ্ছি। তিনি আমাদের দুজনের টাকা সবার মধ্যে ভাগ করে দিবেন বলেছেন। খুশি মনে আমরাও রাজি হয়েছি।”

জাতীয় হ্যান্ডবল দলের কোচ নাসির উল্লাহ লাভলু বলেন, “নিম্নবিত্ত পরিবারের থেকে উঠে আসা এসব খেলোয়াড়ের জীবন চলে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ মতো করে। তার ওপরে লক ডাউনের কারণে জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে যাওয়ায় তাদের স্বাভাবিক রোজগারের পথটাও বন্ধ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের কাছে পাঠানো এই ঈদ উপহার অনেকটা আর্শীবাদে রূপ নিয়েছে।”

ইপিলিয়ন গ্রুপের কর্নধার রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন সমাজের সামর্থ্যবানদের প্রতি এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

“বর্তমানে দেশের অনেক মানুষ খুব কষ্টে আছে। যারা সামর্থ্যবান, তারা যদি এই কষ্টটা একটু ভাগ করে নেয়, তাহলে অনেকের কষ্ট অনেকখানি লাঘব হয়। মানুষের কষ্ট অনুভব করাটাই আমার কাছে মানবতা।”