স্লোভাকিয়ার ম্যাকো ভিলিয়াম, মন্টেনেগ্রোর সাভা গারদাসেভিচ ও সার্বিয়ার গোরান ওবরাদভিচ-এই তিন বিদেশি খেলোয়াড় দুই মৌসুম আগে যোগ দিয়েছিলেন সাইফ স্পোর্টিংয়ে। মান ‘ভালো না হওয়ায়’ তিন খেলোয়াড়কে পরে ছেড়ে দেয় সাইফ।
ওই সময় ফিফার কাছে নিজেদের পাওনা নিয়ে অভিযোগ জানান ভিলিয়াম, গারদাসেভিচ ও ওবরাদভিচ। সেই পাওনা এতদিনেও পরিশোধ না করায় সাইফকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ভিডিও বার্তায় সাইফের দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের ওপর ফিফার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
“দুই মৌসুম আগে সাইফ স্পোর্টিংয়ের তিন জন খেলোয়াড় তাদের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফার কাছে অভিযোগ করে। ফিফা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গত দুই বছর ধরে খেলোয়াড়দের দেনা-পাওনা বিষয়ে অনেক পত্র চালাচালি হয়েছে; সাইফও তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে। সকল বিষয় যাচাই বাছাই করে ফিফার ভিআরসি কমিটি এর আগে তাদের সিদ্ধান্ত দেয়।”
সাইফ তা বাস্তবায়ন না করায় গত মার্চে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি এই তিন জন খেলোয়াড়কে নির্দিষ্ট পরিমাণ বকেয়া ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এবং চুক্তির বিষয়গুলো মাথায় রেখে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছিল বলে জানান আবু নাঈম সোহাগ। প্রতিটি ইস্যুতে সাইফ স্পোর্টিংকে ৫ হাজার সুইস ফ্রা করে জরিমানাও করা হয়েছিল। ৩০ দিনের মধ্যে সবকিছু পরিশোধের বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছিল।
“সে সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করি। কিন্তু এর মধ্যে ফিফা বা আমাদের কাছে সাইফ কোনো ডকুমেন্ট না পাঠানোয় সে আলোকে আজকে সাইফকে অফিসিয়ালি জানিয়েছি, এই পেমেন্ট গুলো দেওয়ার কোনো ভ্যালিড ডকুমেন্ট আমাদের বা ফিফাকে যতদিন না দেওয়া হচ্ছে, ততদিন ফিফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাইফ স্পোর্টিং বা এর যুব দলের পক্ষে কোনো দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনে নিষিদ্ধ থাকবে।”