নেইমারের পেছনে পিএসজির আকাশছোঁয়া খরচ

বছর তিনেক আগে ট্রান্সফার ফির বিশ্ব রেকর্ড গড়ে নেইমারকে দলে টানলেও তা খুব একটা কাজে লাগেনি পিএসজির। বারবার চোটে পড়ায় তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে অনেকটা সময়। ফলে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে চুক্তিভুক্ত করার মূল যে কারণ, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা তো হয়ইনি, উল্টো পানির মত খরচ হয়েছে অর্থ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2020, 11:43 AM
Updated : 29 April 2020, 11:43 AM

ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ২০১৭ সালে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে টানে পিএসজি।

প্যারিসে যাওয়ার পর থেকে বারবার চোটে পড়তে থাকেন নেইমার। নিষেধাজ্ঞার কারণেও কয়েক দফায় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। আর এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এক মাসের বেশি সময় ধরে ফ্রান্সের ফুটবল বন্ধ থাকার পর বাতিল করা হয়েছে চলতি ঘরোয়া মৌসুম।

পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে দলের ১৫৫ ম্যাচের মধ্যে নেইমার খেলতে পেরেছেন মাত্র ৮০টি, যা শতকরা হিসাবে ৫১ শতাংশ। প্রতি মৌসুমে গড়ে ২৬ ম্যাচ।

স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি মৌসুমে পিএসজি নেইমারকে দিয়েছে তিন কোটি ৭০ লাখ ইউরো। মাঠের পারফরম্যান্সে আকাশছোঁয়া এই অর্থের প্রভাব পড়েনি।

এই হিসাবে ম্যাচ প্রতি নেইমারকে দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ ইউরো! অর্থাৎ ৮০ ম্যাচ খেলার জন্য নেইমারকে দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ ইউরো।

চোটের কারণে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে নেইমারকে পায়নি পিএসজি। যা তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্নে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
২০১৮ বিশ্বকাপের আগে পিএসজির হয়ে নেইমার মাঠের বাইরে ছিলেন ১০০ দিন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে দলের ৫৬ ম্যাচের মধ্যে তিনি খেলতে পারেন মাত্র ৩০টি। ওই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ খেলতে পারলেও ছিলেন না ঘরের মাঠের ফিরতি পর্বে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে হেরে যায় তার দল।
পরের মৌসুমে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল ৮৮ দিন। দলের ৫৫ ম্যাচের মধ্যে খেলতে পারেন মোটে ২৮টি। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে কোনো লেগেই খেলতে পারেননি নেইমার। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৩-৩ হলে অ্যাওয়ে গোলে বাদ পড়ে পিএসজি।

২০১৯ সালে জুনে গোড়ালির চোটে আবারও মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। ফলে ২০১৯-২০ মৌসুমের শুরুতে মাঠে নামতে পারেননি তিনি।