২০০৯ সালে ইন্টার মিলান থেকে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ বার্সেলোনায় এলে চুক্তির অংশ হিসেবে সেরি আর দলে যোগ দেন ইতো। ২০০৪ সাল থেকে এর আগ পর্যন্ত কাম্প নউয়ে খুব কাছ থেকে দেখেছেন মেসিকে।
ফ্রান্সের থিয়েরি অঁরি ও ব্রাজিলের রোনালদিনিয়োকে নিয়ে বার্সেলোনার ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগের অংশ ছিলেন ইতো। স্প্যানিশ দলটির হয়ে জেতেন তিনটি লা লিগা, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও একটি কোপা দেল রে শিরোপা।
লা লিগার ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসির শুরুর সময়টা সামনে নিয়ে আসেন ৩৯ বছর বয়সী ইতো।
“সে ‘বি’ দল ও মূল দলে অদল-বদল করে খেলত আর সে খুব ভালো ছিল। সেই সময়েই আমরা জানতাম, মেসি একদিন কী হবে। আমি খুশি কারণ, নিজের কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সে তা অর্জন করতে পেরেছে।”
খ্যাতি কোনো পরিবর্তন আনেনি মেসির মধ্যে। ইতোর মতে, ঠিক আগের মতোই আছেন তার এক সময়ের সতীর্থ।
“সে মোটেও বদলায়নি। তখন তাকে যেমন ভালো মানুষ জানতাম এখনও সে সে তেমনই আছে। আমার পরামর্শের জন্য সম্প্রতি সে বলেছে, ‘সামুয়েলকে ধন্যবাদ’, কী বলেছিলাম তা এখানে প্রকাশ করব না, এটা তার ক্যারিয়ারকে বদলে দিয়েছিল।”
ইতোর পরামর্শ প্রসঙ্গে মেসি বলেছিলেন, “ওই দিনের কথা আমার সবসময় মনে পড়ে, যেদিন ইতো বলেছিল, ‘যখন তুমি গোল করা শুরু করবে, এরপর আর থামবে না কখনও’।”
ছয়টি ব্যালন ডি অর জেতা মেসি সাফল্যে মোড়া ক্যারিয়ারের পরও যেভাবে পা মাটিতে রেখেছে সেটা সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে ইতোকে। মেসির অর্জন আর কেউ ছাপিয়ে যেতে পারবে কি না এ নিয়ে সন্দিহান তিনি।
“শুরুতে মেসির কিছু সমস্যার সমাধান করতে হয়েছিল, তবে সেই প্রতিভা তার বরাবরই ছিল। সে যে গল্প লিখে চলেছে, তা দেখে আমি খুশি ও গর্বিত আর এটা এখনও শেষ হয়নি।”
“তার অর্জন ছাপিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হতে চলেছে, এমনকি অসম্ভবও। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার চরিত্র। সবাই তার প্রশংসা করে, খেলোয়াড় হিসাবে ভালোবাসে।
“সে দুর্দান্ত একজন মানুষ এবং এখনও তার বন্ধুদের একজন হিসেবে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।”