মালদিনি ও ফুটবলের ‘ব্যর্থ’ ১০

জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা। নিজের জায়গায় একেকজন দারুণ সফল। তবুও আছে আক্ষেপ। ক্ষত হয়ে আছে ফাইনালে হারের অনেক তেতো স্মৃতি। সাফল্য পেলে অনেকে পেছনের ব্যর্থতার কথা ভুলে যান। তাদের দলে নেই পাওলো মালদিনি। অতীতের হারগুলোর কথা মনে করে নিজেকে ভাবেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ’ ফুটবলার হিসেবে।

মো: ইমামুল হাবীববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2020, 03:00 AM
Updated : 27 April 2020, 03:00 AM

ইতিহাসের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন মালদিনি। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে জিতেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, সাতটি সেরি আ,একটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ ২৫টি শিরোপা। ইনস্টাগ্রামে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ক্রিস্তিয়ান ভিয়েরির সঙ্গে আলাপচারিতায় বলছিলেন ফাইনালসহ বড় ম্যাচের হার এখনও কতটা পোড়ায় তাকে।

“আমি হলাম ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ ফুটবলার…অনেক শিরোপা জিতেছি ঠিকই, কিন্তু আমি হেরেছি একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল, একটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল, একটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, একটি বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনাল এবং চাইলে আরও বলতে পারি।”

এরপরও অবশ্য সবচেয়ে বেশি ফাইনালে হারা খেলোয়াড় কিংবা কোচদের তালিকায় নাম নেই মালদিনির। যারা আছেন তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে স্প্যানিশ ক্রীড়া পত্রিকা মার্কা। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

হাভিয়ের মাসচেরানো

আর্জেন্টিনার কোচ থাকার সময় দিয়েগো মারাদোনা বলেছিলেন, তার দল হবে মাসচেরানো এবং অন্য দশ জনকে নিয়ে। সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের রত্ন চিনতে ভুল হয়নি। নিজের পজিশনে মাসচেরানো হয়ে উঠেছিলেন সময়ের সেরাদের একজন।

মূলত ছিলেন মিডফিল্ডার। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেও কার্যকর। বার্সেলোনায় সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবেও প্রমাণ করেছেন নিজেকে। সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে জিতেছেন ২০টির বেশি শিরোপা। করিন্থিয়ান্স, রিভার প্লেট ও বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন ছয়টি লিগ শিরোপা। দুবার করে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও অলিম্পিক সোনা। 

জাতীয় দলের হয়ে গনসালো হিগুয়াইন, আনহেল দি মারিয়া, সের্হিও আগুয়েরো, লিওনেল মেসিদের সঙ্গে ছিলেন ‘হতাশার প্রজন্মের’ অংশ। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ এবং ২০০৪, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের তেতো অভিজ্ঞতা আছে তার। ক্যারিয়ারে মোট ১১ ফাইনালে হারের অভিজ্ঞতা আছে মাসচেরানোর, মেসির চেয়ে যা একটি বেশি।

পাত্রিস এভরা

২০ বছরের ক্যারিয়ারে যেখানেই গেছেন, শিরোপা জিতেছেন। সব মিলিয়ে ২১টি, সঙ্গে জমেছে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু স্মৃতিও!

চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারেন ফরাসি ডিফেন্ডার এভরা, অন্য যে কারোর চেয়ে যা বেশি।  

২০০৪ সালে প্রথমবার হেরেছিলেন মোনাকোর হয়ে জোসে মরিনিয়োর পোর্তোর বিপক্ষে। বাকি তিনবার প্রতিপক্ষ ছিল বার্সেলোনা; ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২০০৯ ও ২০১১ সালে, সবশেষ ২০১৫ সালে হারেন ইউভেন্তুসের হয়ে।

ইউনাইটেডের হয়ে ২০০৮ সালে জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল চেলসি।

২০১৬ ইউরোর ফাইনালে ঘরের মাঠে পর্তুগালের বিপক্ষে হারে এভরার ফ্রান্স।

আরিয়েন রবেন

যেখানে খেলতে গেছেন সেখানে শিরোপা জিতেছেন রবেনও। ১৯ বছরের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে ডাচ উইঙ্গারের অর্জন ৩০ শিরোপা। নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, স্পেন ও জার্মানির শীর্ষ লিগ জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফিও তুলে ধরেছেন।

একই সঙ্গে আছে ছয়টি ফাইনালে হারার তেতো অভিজ্ঞতা। ২০১০ সালের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হেরেছিল রবেনের নেদারল্যান্ডস। পরের বিশ্বকাপে থামতে হয় সেমি-ফাইনালে। দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারার স্মৃতি আছে। তিনবার হেরেছেন সুপার কাপের ফাইনালে।   

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১২ সালের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি রবেন। সেবার চেলসির বিপক্ষে ট্রাইবারে হারে বায়ার্ন মিউনিখ। পরের আসরে যেন দুঃখ ভুলেন রবেন। ৮৯তম মিনিটে তার গোলেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার শিরোপা জেতে বায়ার্ন।

মাইকেল বালাক

নিজের সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। তীরে এসে তরী ডোবার নিদারুণ সব অভিজ্ঞতার জন্য তাকে মনে রেখেছেন অনেকে।   

একটি ছাড়া আর সব ক্লাবে খেলতেন ১৩ নম্বর জার্সি পরে। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে জিতেছেন ১৩ শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে করেছেন ৪২ গোল। জার্মানির হয়ে তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল সাত জনের।    

ফাইনালে গিয়ে কী যেন হতো বালাকের। শেষ লাইন পার হতে না পারার ব্যাপারটা যেন সীমা ছাড়িয়ে যায় ২০০২ সালে। কী হারাননি সেই বছর!  

৩ ম্যাচ বাকি থাকতে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে থেকেও বুন্ডেসলিগার শিরোপা জিততে পারেনি বালাকের বায়ার লেভারকুজেন। শেষ দিনে গিয়ে বরুসিয়া ডর্টুমন্ডের কাছে শিরোপা হারায় তারা। জার্মান লিগ কাপের ফাইনালে হারে শালকের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে একই পরিণতি হয় রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। দুঃসময়ের শেষ এখানেই নয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারতে হয় ব্রাজিলের বিপক্ষে। 

না পাওয়ার বেদনা অনেকবারই পুড়িয়েছে বালাককে। ২০০৮ সাল ছিল আরেক হতাশার বছর। ২ পয়েন্টের জন্য হাতছাড়া হয় লিগ শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারে বালাকের চেলসি। পরে স্পেনের বিপক্ষে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারে জার্মানি।

এক্তর কুপের

তালিকায় জায়গা পাওয়া একমাত্র কোচ আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার কুপের।

কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ১৯৯৬ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব লানুসের হয়ে জেতেন কোপা কনমেবল। দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় শীর্ষ এই ক্লাব প্রতিযোগিতাটির বর্তমান নাম ‘কোপা সুদামেরিকানা।’ এছাড়া মায়োর্কার হয়ে ১৯৯৮ সালে ও ভালেন্সিয়ার হয়ে ১৯৯৯ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতেন তিনি।

ছোট ক্লাব নিয়ে লড়াইয়ের জন্য বেশ পরিচিত কুপের। ছয়টি ফাইনালে না হারলে অর্জনের খাতা হতে পারতো আরও সমৃদ্ধ। 

১৯৯৮ সালে মায়োর্কাকে নিয়ে গিয়েছিলেন কোপা দেল রের ফাইনালে। সেখানে বার্সেলোনার বিপক্ষে পেরে উঠেনি তার দল। পরের বছর কাপ উইনার্স কাপের (বর্তমানে ইউরোপা লিগ) ফাইনালে লাৎসিওর বিপক্ষে হারে মায়োর্কা।

ভালেন্সিয়াকে ২০০২ ও ২০০১ সালে নিয়ে যান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। তবুও ইউরোপ সেরার মুকুট পরা হয়নি কুপেরের। ২০১০ সালে গ্রিক কাপের ফাইনালে হারে তার দল। ২০১৭ সালে কাপ অব নেশন্সের ফাইনালে হারে মিশর। পরে অবশ্য দলকে বিশ্বকাপে নিয়ে গিয়েছিলেন কুপের।

আলেস্সান্দ্রো দেল পিয়েরো

দুঃসময়ে ইউভেন্তুসকে ছেড়ে যাননি। দলের সঙ্গে নেমে গিয়েছিলেন সেরি বিতে। খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাবটিতে। হয়ে ওঠেছেন ইউভেন্তুসের একজন কিংবদন্তি।

‘ওল্ড লেডি’ নামে পারিচিত দলটির হয়ে জিতেছেন ১৫ শিরোপা। ১৯৯৬ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতার পর ছয় বছরের মধ্য তিনবার ফাইনালে হারার তেতো স্বাদ পেয়েছেন তিনি।

১৯৯৭ সালে ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টুমন্ডের বিপক্ষে হারে আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা। পরের বছর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি ইউভেন্তুস।

২০০৩ সালের ফাইনালে টাইব্রেকারে এসি মিলানের বিপক্ষে হারে ইউভেন্তুস।

২০০৬ সালে ইতালির হয়ে জেতেন বিশ্বকাপ। সেমি-ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল দেল পিয়েরোর।

লোথার মাথাউস

সুন্দর ফুটবলের চেয়ে শিরোপা বড়-এটাই মাথাউসের দর্শন। শুধু সুন্দর ফুটবল খেলার চেয়ে সাফল্যকে বেশি গুরুত্ব দাও- খেলোয়াড়দের প্রতি তার একটাই বার্তা। নিজে অনুসরণ করে ২১ বছরের ক্যারিয়ারে জার্মান এই কিংবদন্তি জিতেছেন ২৬ শিরোপা।

রেকর্ড পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলা মিডফিল্ডার মাথাউস ১৯৯০ আসরে জেতেন শিরোপা। এর ১০ বছর আগে জেতেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।

বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের আছে দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের অভিজ্ঞতা। ১৯৮২ আসরে ইতালি ও ১৯৮৬ আসরে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হারে জার্মানি (সেই সময় ছিল পশ্চিম জার্মানি)। 

জার্মানির একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা মাথাউস হেরেছেন দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। একবার প্রতিপক্ষ ছিল পোর্তো, অন্যবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

গনসালো হিগুয়াইন

“আমি যে গোলগুলি করতে ব্যর্থ হয়েছি মানুষ সেগুলো মনে রেখেছে। কিন্তু যে গোলগুলি আমি করেছি তা মনে রাখেনি। আমি নিশ্চিত যে, ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের শেষ আটে বেলজিয়ামের বিপক্ষে আমার করা জয়সূচক গোলটি সবাই উদযাপন করেছে,” গত বছর জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার সময় বলেছিলেন গনসালো হিগুয়াইন। 

খুব একটা ভুল হয়তো বলেননি রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই স্ট্রাইকার। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চোখে হয়তো এখনও ভাসে তার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার দৃশ্যগুলো। দেশের হয়ে কিছুই জিততে পারেননি তবে ক্লাবের হয়ে জিতেছেন বেশ কিছু শিরোপা।

রিয়ালের হয়ে জিতেছেন তিনটি লা লিগা, একটি কোপা দেল রে ও দুটি সুপারকোপা।

ইতালিতেও পেয়েছেন সাফল্য। নাপোলির হয়ে জিতেছেন একটি করে কোপা ইতালিয়া ও সুপারকোপা। বর্তমান ক্লাব ইউভেন্তুসের হয়ে দুটি করে জিতেছেন সেরি আ ও কোপা ইতালিয়া। ধারে খেলতে গিয়ে চেলসির হয়ে ইউরোপা লিগ জয়েরও অভিজ্ঞতা আছে হিগুয়াইনের।

তবে জয়ের চেয়ে ফাইনালে হারের কারণেই হয়তো তিনি বেশি মনে থাকবেন। এ পর্যন্ত পাঁচটি ফাইনালে হেরেছেন তিনি। এর মধ্যে তিনবার আর্জেন্টিনার হয়ে-২০১৪ বিশ্বকাপে এবং ২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকায়। ইউভেন্তুসের হয়ে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হারের অভিজ্ঞতাও আছে তার। ফাইনালের অন্য হারটি চেলসির হয়ে লিগ কাপে।

২০১৪ সালে টনি ক্রুসের ভুলে বল পেয়ে যান হিগুয়াইন। সামনে ছিলেন কেবল মানুয়েল নয়ার। সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার, বাইরে বল মেরে জার্মান গোলরক্ষককে পরীক্ষায়ও ফেলতে পারেননি। পরের বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হিগুয়াইন।

জানলুইজি বুফফন

ফুটবলে এমন খুব বেশি ট্রফি নেই যা জানলুইজ বুফ্ফন জিতেননি। তবে সেগুলোর জন্য আচ্ছন্ন হয়ে নেই জানলুইজি বুফ্ফন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিততে না পারাটা মাঝে-মাঝে পোড়ায় ইউভেন্তুসের এই গোলরক্ষককে।  

সেই ১৯৯৫ সালে অভিষেক। খেলে যাচ্ছেন এখনও। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পার্মা, ইউভেন্তুস ও পিএসজির হয়ে জিতেছেন ২৩টি শিরোপা। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে ইতালির হয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপসহ জিতেছেন তিনটি ট্রফি।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, ক্লাব বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা হয়নি ৪২ বছর বয়সী গোলরক্ষকের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের দুয়ারে গিয়েছিলেন ২০০৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে। তিনবারই ফাইনালে জিতেছে প্রতিপক্ষ। পিএসজির হয়ে ফরাসি কাপ ও পার্মার হয়ে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে হারের অভিজ্ঞতা আছে তার।

আন্তোনি দে আভিলা

কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, একুয়েডর ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্লাবে প্রায় তিন দশক ধরে খেলে ৪৭ বছর বয়সে আন্তোনি দে আভিলা তুলে রেখেছেন বুট জোড়া। কলম্বিয়ান সাবেক এই স্ট্রাইকার কোপা লিবের্তাদোরেসের ফাইনালে দেখেছেন একের পর এক হার।  

২৯ গোল করে এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ গোলদাতা দে আভিলা। দেশের শীর্ষ লিগ জিতেছেন নয়বার তবে দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা জেতা হয়নি একবারও।

১৯৮৫ সালে আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যায় তার দল আমেরিকা। পরের বছর হারে আর্জেন্টিনার রিভার প্লেটের বিপক্ষে। কোপা লিবের্তাদোরেসের ফাইনালে টানা তৃতীয় হারটা ছিল ১২০ মিনিটের লড়াই শেষে। এবারের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ের পেনারোল।

১৯৯৫ সালে তার দল হারে গ্রেমিওর বিপক্ষে, পরের বছর ফাইনালে রিভার প্লেটের বিপক্ষে হয় একই পরিণতি। সব মিলিয়ে পাঁচবার লাতিন আমেরিকার ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় শেষ ধাপ পার হতে পারেননি দে আভিলা।