করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশে বন্ধ রয়েছে ফুটবল। খেলা বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবগুলোর আয়ও কমে গেছে। আর্থিক ভারসাম্য ধরে রাখতে অনেক ক্লাব খেলোয়াড়, স্টাফদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সঙ্কটের বড় প্রভাব পড়তে পারে ফুটবলের দলবদলের বাজারে। তাতে খেলোয়াড়দের দাম অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য দানিয়েল কোহেন-বেনদিত।
গত কয়েক বছর ধরে দলবদলের বাজারে খেলোয়াড়দের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চোখ কপালে তোলার মতো অর্থ খরচ করে খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে বড় ক্লাবগুলো। কোহেন-বেনদিতের ধারণা, করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে আগের অবস্থা আর থাকবে না। তার মতে, কিছু ক্লাব তখন টিকে থাকার চেষ্টা করবে, অনেক ক্লাবকে তাদের কৌশল পরিবর্তনের কথা ভাবতে হবে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় আসে ফুটবলারদের বড় অঙ্কের বেতন। তাদের আয়ের প্রসঙ্গও এসেছে তার লেখায়।
কোহেন-বেনদিত উদাহরণ দিয়েছেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপেকে দিয়ে। ফ্রান্সের এক সংবাদমাধ্যমে নিজের কলামে এই রাজনীতিবিদ লিখেছেন, এক দুই-মাস আগের তুলনায় এমবাপের দাম কমে যাবে উল্লেখযোগ্য হারে।
“করোনাভাইরাস সঙ্কট যখন কেটে যাবে, তার মূল্য ২০ কোটি ইউরো নয়, বরং সাড়ে ৩ বা ৪ কোটি ইউরোর বেশি হবে না। তখনও কারা তাকে কিনতে পারবে?”
“এই সঙ্কটে পেশাদার খেলাধুলার অযৌক্তিক বিষয়গুলো মুছে যাবে... দরকার হলে বেতনের সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। বিষয়টি এমন যেন নিউক্লিয়ার হামলা হয়েছে এবং সবকিছু এরপর নতুন করে শুরু করতে হবে... এটি কেবল খেলোয়াড়দের বেতন নয়, ইমেজ স্বত্ব ও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আমাদের ফুটবলে অত্যধিক ব্যবসা করে যারা, সেই এজেন্টদের চক্র ভেঙে দিতে হবে। আমার মনে হয় না, খেলোয়াড়দের অবস্থা তাতে খারাপ হবে কারণ তাদের বেতন তুলনামূলক কম দেওয়া হয়।”
পিএসজির সঙ্গে ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে এমবাপের। ২০২১ সালের গ্রীষ্মের দলবদলে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে টানার পরিকল্পনা করছে বলে গুঞ্জন আছে।