ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুই আর্জেন্টাইন গ্রেট ফুটবলারের ভূয়সী প্রশংসা করেন আগিররে। তুলে ধরেন পার্থক্যও। সেই সঙ্গে ছোট্ট মেসিকে প্রথম দেখার সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।
“মারাদোনার বিপক্ষে আমি চারবার খেলেছি, সে দুর্দান্ত এক ফুটবলার ছিল। দুজনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। মারাদোনা মাঠে রেফারি, সতীর্থদের সঙ্গে প্রচুর কথা বলত। মেসি তেমন নয়।”
“লিও খুবই শান্ত মানুষ। সাধারণ একজন, আপনি কেবল তাকে বলটা দিবেন… কখনোই দেখবেন না কোচ, রেফারিকে লক্ষ্য করে মেসি চিৎকার করছে। এমনকি আপনি যদি তাকে লাথিও মারেন, তবুও না। মারাদোনা এদিক দিয়ে ছিল আলাদা। দুজনেই অসাধারণ। আপনি মাঠে তাদের দেখে আনন্দ পাবেন, এমনকি তারা যদি আপনার প্রতিপক্ষও হয়।”
২০০২ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর কোচ ছিলেন আগিররে। বিশ্বকাপের পর ওই বছরই যোগ দেন ওসাসুনায়। তখনই ছোট্ট মেসির খেলা প্রথম নজরে আসে তার।
“২০০২ সালে সেভিয়ার মাঠে আমাদের খেলা ছিল। ম্যাচের আগে আমি অনুশীলন করাচ্ছিলাম। আমার ম্যানেজার আমাকে ডাকলেন, পাশের মাঠে যুব দলের একটা ম্যাচ চলছিল, সেভিয়া বনাম বার্সেলোনা। আমাকে বললেন, ‘বার্সেলোনার ওই ছোট্ট ছেলেটাকে দেখ, লম্বা চুল…৪ ফুট ১১ ইঞ্চি লম্বা।’ ১০ মিনিটের মধ্যে ছেলেটা গোল করল, কেউ তাকে আটকাতে পারল না, কোনো সুযোগই ছিল না। পরের বছর ওসাসুনা খেলল বার্সেলোনার বিপক্ষে এবং সে (মেসি) ছিল বিস্ময়কর, চমৎকার।”
২০১০ বিশ্বকাপেও মেক্সিকোর কোচ ছিলেন আগিররে। এর আগে তিন বছর ছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ। পরে যোগ দেন লা লিগার আরেক দল এস্পানিওলে। কিন্তু কখনোই মেসিকে আটকানোর সহজ কোনো উপায় পাননি।
“আমি তাকে থামাতে সব ধরনের চেষ্টা করেছি। মার্কিংয়ে এক বনাম এক, দুই বনাম এক, ফাউল করেছি, কিন্তু সে অপ্রতিরোধ্য।”
রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই যেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর নাম চলে আসে। তবে ইউভেন্তুসের পর্তুগিজ তারকার চেয়ে মেসি অনেক আলাদা বলে মন্তব্য করেন আগিররে।
“সে (মেসি) ক্রিস্তিয়ানোর চেয়ে অনেক আলাদা, তবে তাদের দুজনের বিপক্ষেই খেলা কঠিন। আপনাকে বুঝতে হবে, কেবল একটি উপায়ে তাকে (মেসি) থামানো সম্ভব। সেটি হলো-তার কাছে বল যেতে দেওয়া যাবে না। সংযোগটা কেটে দিতে হবে।”