জার্মান এই মিডফিল্ডারের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়দের বেতন কাটার পথে হাঁটবে না বলে এতদিন জানিয়ে আসছিল স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো। তবে দেশটির রেডিও নেটওয়ার্ক কাদেনা সের বুধবার জানায়, লা লিগা ক্লাবগুলোর মধ্যে আলোচনার পর রিয়ালও বেতন কাটার পথ বেছে নিয়েছে।
খেলোয়াড়দের সামনে দুটি বিকল্প রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা-জরুরি অবস্থা কাটার পর পুনরায় খেলা শুরু হলে ১২ শতাংশ বেতন কেটে রাখা হবে, আর খেলা না হলে বেতন কাটা হবে ২০ শতাংশ।
তবে ক্রুস মনে করেন, বেতন কম নিয়ে ক্লাবকে সহায়তার কোনো মানে নেই; জরুরি এই পরিস্থিতিতে সহায়তা করার জন্য এর চেয়ে ভালো ক্ষেত্র আছে। এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।
“বেতন কম নেওয়া অনেকটা বৃথা দানের মত। আমি পূর্ণ বেতন দেওয়ার পক্ষে…সবাইকে যেখানে দরকার সেখানে সাহায্য করতে বলা হচ্ছে এবং সাহায্যের দরকার এমন অনেক জায়গা আছে।”
“অনেক ক্লাব তাদের পরিকল্পিত আয় হারাচ্ছে। এটা নির্ভর করছে সবকিছু কতদিন বন্ধ থাকবে তার ওপর। উদাহরণ হিসেবে, যদি মে মাসে ফুটবল আবার শুরু হয়, তবে সমাধান অবশ্যই পাওয়া যাবে।”
সঙ্কট মোকাবেলার জন্য গত শুক্রবার ক্লাবগুলোকে স্পেন সরকারের ‘টেম্পোরারি এমপ্লয়মেন্ট রেগুলেশন’ কার্যকর করার আহ্বান জানায় লা লিগা। এই আইনে কিছু নির্দিষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে কোম্পানি তার কর্মীদের সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এরই মধ্যে সঙ্কটকালীন সময়ে ৭০ শতাংশ বেতন কম নিতে রাজি হয়েছে বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা। বুন্ডেসলিগার ক্লাব বায়ার লেভারকুসেন, বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ, শালকে-০৪, হফেনহাইমের কোচ, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইউভেন্তুসও।