সাধারণত বছর জুড়ে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে চলে আর্চারদের ক্যাম্প। থাকা, খাওয়া আর অনুশীলন সব হয় সেখানেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে স্টেডিয়ামটি ছেড়ে দিয়েছে আর্চারি ফেডারেশন।
ইতিও ফিরেছেন গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙায়। কিন্তু ফেডারেশনের কড়া নিষেধ আছে বাইরে না যাওয়ার। তাই ঘরবন্দী হয়ে হাঁপিয়ে উঠলেও ঘরের চৌকাঠ পেরুচ্ছেন না ১৫ বছর বয়সী এই আর্চার।
“চারদিকে যে পরিস্থিতি ঘরে ছাড়া থাকা কোনো উপায় নেই। বাইরে না বেরুনোর অবশ্য আরেকটি কারণও আছে। যদি অসুখটা শুধু আমারই হত, তাহলে এতটা ভয় পেতাম না। কিন্তু যদি আমার থেকে বাড়ির সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে! সেই ভয়ে কষ্ট হলেও বাইরে একদমই যাচ্ছি না।”
“বাড়ির মধ্যেই থাকি সারাক্ষণ। টিভি দেখি। কখনও ঘর গোছাই; মুছে দেই। মা রান্না করতে দেন না কিন্তু আমি মাকে রান্নার কাজে যতটা পারি সাহায্য করি। ঘরের অনান্য কাজও করি সময় কাটাতে।”
কাঠমান্ডু-পোখারার গত এসএ গেমসে রিকার্ভের তিন ইভেন্টে সোনা জিতে চমক জাগানো ইতি সবাইকে অনুরোধও করলেন ঘরে থাকার।
“সারাক্ষণ ঘরে থাকার কষ্টটা বুঝতে পারছি। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কেননা, এভাবে তো লম্বা ছুটি নিয়ে বাড়ি আসা হয় না। এবার আসতে পারলেও কোথাও যেতে পারছি না ভাইরাসের কারণে। তাই কষ্ট হলেও ঘরে থাকছি। সবাইকে একটা অনুরোধই করব, যত কষ্টই হোক, ঘরে থাকুন।”