চীনের উহান থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এরই মধ্যে প্রাণহানী হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষের। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে বাংলাদেশেও। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খেলাধুলা।
মাঠে খেলা না থাকলেও কাজ পুরোপুরি থেমে নেই লেমোসের। দিনের রুটিন জানতে চাইলে ৩৩ বছর বয়সী এই কোচ বরাবরের মতোই দিলেন লম্বা উত্তর।
“শুধু রুমে বসে থাকতে হচ্ছে। এটা পীড়াদায়ক। কেননা, রুমে বসে থাকার চেয়ে আমি কাজ করাটা প্রাধান্য দেই। কিন্তু করোনাভাইরাস খুব বিপদজ্জনক। তাই কাজের চেয়ে নিরাপদ থাকাই এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
“অবশ্য হোটেলে থাকার সুবাদে সকালে আমি ওদের জিমটা ব্যবহার করতে পারছি। বিকালে নিজের কিছু কাজ করছি। গেমস খেলছি। খেলোয়াড়দের ভিডি দেখছি। সময় পার করতে দেখছি মুভিও।”
খেলা বন্ধ হওয়ায় কোচদের কেউ কেউ ছুটি কাটাতে দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। লেমোসেরও সুযোগ ছিল পর্তুগালে ফিরে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানোর। কিন্তু তিনি থেকে গেছেন ঢাকাতেই।
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক, হোটেলে রুমবন্দী থাকার পীড়া থাকলেও সুস্থ থাকার স্বস্তি আছে লেমোসের। সবাইকে দুঃসময়ে ইতিবাচক থাকার বার্তাও দিলেন আবাহনী কোচ।
“ভালো আছি। কিন্তু কঠিন সময় আসছে। আমাদেরকে অবশ্যই ইতিবাচক হতে হবে। শক্ত এবং নিরাপদ থাকতে হবে। আমি যতটুকু শুনেছি, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে এবং এর বিস্তার রোধে সবাইকে ঘরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।”
লেমোসের হাত ধরে গত লিগে রানার্সআপ হওয়া আবাহনী চলতি লিগে মুকুট ফিরে পাওয়ার দৌড়ে ভালোভাবেই আছে। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। লিগে এ পর্যন্ত দলটির একমাত্র হার চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে।