করোনাভাইরাস: জোরালো হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক স্থগিতের দাবি

করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে স্থবির অবস্থা। একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব ক্রীড়া ইভেন্ট। কিন্তু থেমে নেই টোকিও অলিম্পিক ঘিরে তোড়জোড়। দর্শকের উপস্থিতি ছাড়াই কদিন আগে হয়ে গেছে মশাল প্রজ্জ্বলন। তবে চিত্রপটে ভিন্নতা আসতে শুরু করেছে। প্রতিযোগিতাটি পিছিয়ে দেওয়ার জোর দাবি উঠতে শুরু করেছে চারিদিকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2020, 09:51 AM
Updated : 21 March 2020, 09:51 AM

বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া কভিড-১৯ রোগে সারাবিশ্বে এই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে আড়াই লাখ মানুষ। এতে মৃত্যু ঘটেছে ১১ হাজারের বেশি মানুষের।

অতি সংক্রামক নভেল করোনাভাইরাসের এমন প্রাদুর্ভাবের মাঝেও কদিন আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, পরিকল্পনা অনুযায়ী জুলাইয়ে টোকিও অলিম্পিক হবে। আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৯ অক্টোবর জাপানের টোকিও শহরে হওয়ার কথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর।

তবে বাস্তবতার সঙ্গে বদলাতে শুরু করেছে ভাবনাও। যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে অলিম্পিকের বেশ কিছু ট্রায়াল ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতার সংস্থা দেশটির অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির কাছে আবেদন করেছে, তারা যেন এবারের আসর ১২ মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে।

বিবিসির দাবি, একটি চিঠি তারা দেখেছে যেটিতে যুক্তরাষ্ট্র সাঁতার সংস্থার প্রধান নির্বাহী টিম হিঞ্চি লিখেছেন, “বিশ্বব্যাপী মানুষের এমন স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাঝে আগামী গ্রীষ্মে অলিম্পিক আয়োজনে জোর দেওয়াটা কোনো সমাধান হতে পারে না।”

যুক্তরাজ্য অ্যাথলেটিক্সের নতুন চেয়ারম্যান নিক কাওয়ার্ড মনে করেন, করোনাভাইরাসের সমস্যার মাঝে টোকিও অলিম্পিক অবশ্যই পিছিয়ে দেওয়া উচিত।

“বিষয়টিকে এভাবেই রেখে দেওয়া এখন পুরো সিস্টেমের ওপর প্রচণ্ড চাপ বাড়াচ্ছে। এটি এখন বুঝতে হবে ও বিবেচনা করতে হবে।”

গ্রেট ব্রিটেনের তায়কোয়ান্দো পারফরম্যান্স ডিরেক্টর গ্যারি হেল এখন জাপানে অবস্থান করছেন। ওখানকার পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখে তিনি জানিয়েছেন, আয়োজকরা নার্ভাস এবং আসছে জুলাইয়ে এটি শুরু করার সম্ভাবনা তারা দেখছেন ৫০-৫০।

এর আগে শুক্রবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখ নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, টোকিও অলিম্পিক ঘিরে ভিন্ন ভাবনা এই প্রথমবারের মতো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ইউরোপের অধিকাংশ দেশে সব ধরনের খেলাধুলা স্থগিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে যেমন অ্যাথলেটদের প্রস্তুতির সব ভেন্যু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গত সপ্তাহে। অধিকাংশ দেশে অনেকটা একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া এখন অনেকটাই সময়ের ব্যাপার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একই কারণে এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও কোপা আমেরিকা এক বছর করে পিছিয়ে গেছে।