ইউরোপিয়ান শীর্ষ ফুটবল সংস্থা বুধবার এই ঘোষণা দেওয়ার আগেই রোমা জানায়, স্পেনে বিমান অবতরণের অনুমতি না মেলায় সেভিয়ার মাঠে তারা খেলতে যেতে পারছে না। বিবিসির একই প্রতিবেদনে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলতে গেতাফের ইতালি সফরে যেতে না চাওয়ার বিষয়টিও জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আগেই বৃহস্পতিবারের এই দুই ম্যাচে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
স্প্যানিশ (এএফই) ও ইতালির (এআইসি) খেলোয়াড়দের সংগঠন উয়েফাকে অনুরোধ জানিয়েছে এই দুই দেশের দলগুলোর মধ্যে সব খেলা স্থগিত করতে।
স্পেনে দর্শকশূন্য মাঠে খেলার চেয়ে ম্যাচ স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছে এএফই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ইতোমধ্যে ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতার বেশ কিছু ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে মাঠে দর্শক প্রবেশ।
স্বাগতিক স্প্যানিশ দল ভালেন্সিয়া ও ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তার মধ্যে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বের ম্যাচটি হয় দর্শক উপস্থিতি ছাড়াই।
বর্তমানে ইউরোপে যে ফুটবল ম্যাচগুলো হচ্ছে, প্রায় সবই দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ ঘোষণা করেছে ইতালি।
কাম্প নউয়ে নাপোলির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বের ম্যাচে কোনো দর্শক থাকবে না বলে জানিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচটি হবে আগামী ১৮ মার্চ।
চীনের পর ইতালিতে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। এর প্রাদুর্ভাবে অবরুদ্ধ ইতালিতে এক দিনেই ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩১ জনে।
একই কারণে পেছানো হয়েছে ফিফা কনগ্রেসও। জুনের পরিবর্তে ৭০তম এই কনগ্রেস বসবে ১৮ সেপ্টেম্বর ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায়।