গত বছর যে মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল লিভারপুল, সেই মাঠেই মঙ্গলবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে নকআউট পর্ব শুরু করে ক্লপের দল।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন সাউল নিগেস।
আতলেতিকো সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। ম্যাচ জুড়ে প্রিয় দলকে সমর্থন দিয়ে গেছে তারা, যা নজর এড়ায়নি ক্লপের। আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমেওনেও একটু পর পর হাত নেড়ে সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে থাকে। ফিরতি লেগে একইভাবে নিজেদের মাঠ ও সমর্থকদের অনুপ্রেরণা কাজে লাগাতে প্রত্যয়ী জার্মান এই কোচ।
“আতলেতিকোর যে সব সমর্থক টিকেট পাবেন…‘অ্যানফিল্ডে তাদের স্বাগতম’।”
“(সমর্থকদের)আবেগ গুরুত্বপূর্ণ। আজ (মঙ্গলবার) রাতে পুরোপুরি তারা আতলেতিকোর পাশে ছিল। এবার আমি দ্বিতীয় লেগের অপেক্ষায় আছি।”
“বিভিন্ন সময়ে আমরা অ্যানফিল্ডের শক্তি নিয়ে কথা বলেছি এবং একটি স্টেডিয়ামের যে শক্তি থাকতে পারে তা আজ (মঙ্গলবার) আপনারা দেখেছেন।”
“সবে প্রথম অর্ধের খেলা হয়েছে এবং আমরা ১-০ গোলে পিছিয়ে আছি। দ্বিতীয়ার্ধ খেলা হবে আমাদের মাঠে এবং তারা এর ঝাঁজ টের পাবে।”
আতলেতিকোর মাঠে লিভারপুল লক্ষ্যে কোনো শটই রাখতে পারেনি। ২০১৫ সালে ক্লপ দলটির দায়িত্ব নেওয়ার পর এ দিয়ে দ্বিতীয় বার ঘটল এমন ঘটনা। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় লিভারপুলের হয়ে দুই লেগের লড়াইয়ে কখনই না হারা ক্লপ।
সমর্থকরা এদিন কতটুকু ভূমিকা রেখেছিল, তা আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনের কথায় স্পষ্ট।
“আট বছর ধরে আমি এখানে আছি, ম্যাচ জুড়ে এভাবে দলকে সমর্থন দিয়ে যেতে আগে কখনও দেখিনি।”