উজ্জীবিত ভেরোনায় ধরাশায়ী ইউভেন্তুস

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দলকে এগিয়ে নিলেন দারুণ ছন্দে থাকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তবে ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না ইউভেন্তুস। শেষ দিকে হজম করল দুই গোল। উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে শিরোপাধারীদের হারিয়ে দিল হেল্লাস ভেরোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2020, 09:49 PM
Updated : 8 Feb 2020, 10:13 PM

সেরি আয় শনিবার ২-১ গোলে হারে টানা আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। এই হারে মাওরিসিও সাররির দলের শীর্ষস্থান হুমকির মুখে পড়ে গেছে।

চলতি আসরে ২৩ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইউভেন্তুস। এক ম্যাচ কম খেলা ইন্টার মিলান ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে আছে দুইয়ে।

ম্যাচের প্রথম ৩৫ মিনিটে অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য করে ভেরোনা। খেলার ধারার বিপরীতে উনবিংশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ইউভেন্তুস। পাল্টা আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে দ্রুত এগিয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে শট নেন দগলাস কস্তা, ভাগ্যের ফেরে বল ক্রসবারে বাধা পায়।

দুই মিনিট পর তরুণ আলবেনিয়ান ডিফেন্ডার মারাশ কুমবুলার দুর্বল হেড ঠেকাতে গিয়ে তালগোল পাকান গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি। বল যায় গোললাইন পেরিয়ে। তবে ভিএআরের সাহায্যে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ইউভেন্তুস।

প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে প্রবল চাপ বাড়ায় তারা। ৩৬ মিনিটে রোনালদোর শট পোস্টে লাগে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তার আরও দুটি প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বিরতির পর একক নৈপুণ্যে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। ৬৫তম মিনিটে মাঝমাঠের আগে থেকে বল পায়ে দ্রুত এগিয়ে যান তিনি। মাঝে রদ্রিগো বেন্তানকুরের সঙ্গে একবার বল দেওয়া-নেওয়া করে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

এই গোলে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। সেরি আর ইতিহাসে ইউভেন্তুসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দশ ম্যাচে গোল করলেন এই তারকা। চলতি আসরে পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের গোল হলো ২০টি। ৫ গোল বেশি করে তালিকার শীর্ষে লাৎসিওর চিরো ইম্মোবিলে।

সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি ভেরোনা। ৭৬তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফাবিও বোরিনি। দশ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন জামপাওলো পাস্সিনি। ডি-বক্সে লিওনার্দো বোনুচ্চির হ্যান্ডবলে স্পট কিকের বাঁশি বাজান রেফারি।

লিগে শেষ তিন ম্যাচে ইউভেন্তুসের এটি দ্বিতীয় হার, আসরে তৃতীয়। সবকটি প্রতিপক্ষের মাঠে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নাপোলির মাঠে একই ব্যবধানে হেরেছিল তারা। এর আগে ডিসেম্বরে লাৎসিওর মাঠে হেরেছিল ৩-১ গোলে।