বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগের ম্যাচটি ২-২ সমতায় শেষ হয়।
এই ড্রয়ে গ্রুপ পর্বে ওঠার প্লে-অফ রাউন্ডে খেলা কঠিন হয়ে গেল আবাহনীর। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মাজিয়ার মাঠে হবে ফিরতি লেগ। প্লে-অফে যেতে হলে দ্বিতীয় লেগে ৩-৩ ড্র বা জিততে হবে আবাহনীকে।
অবশ্য এএফসি কাপে নিজেদের মাঠে অজেয় যাত্রা ধরে রাখল আবাহনী। গতবার নিজেদের মাঠে খেলা চার ম্যাচের সবগুলো জিতেছিল মারিও লেমোসের দল।
শুরুর দিকে দুই দলের খেলায় ছিল না আক্রমণের ধার। ষোড়শ মিনিটে জীবনের ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে যান কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল। মেলসন, সাদউদ্দিনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে মাজিয়ার এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট ফেরান গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল।
৩২তম মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে আবাহনী। ডান দিক থেকে মামুনুল ইসলামের কর্নারে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিজোবার হেড পোস্টে লেগে ফিরে। সাত মিনিট পর শেষ দিকে ডি-বক্সের ঠিক ওপর থেকে মেলসন আলভেসের বুলেট গতির ফ্রি কিক পাঞ্চ করে ফেরান মাজিয়া গোলরক্ষক।
৪০তম মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে গোল হজম করে আবাহনী। দুই ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে বল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর ডি-বক্সে ক্রস বাড়ান ইব্রাহিম হাসান। এজেকিয়েল হেড করার আগে ইব্রাহিমের ক্রস বাঁক থেকে গোললাইন পেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতার স্বস্তি ফেরে আবাহনীর তাবুতে। রায়হানের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মেলসন আলভেস।
৬১তম মিনিটে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের ক্রসে লাফিয়ে উঠেও বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি গোলমুখে থাকা জীবন। চার মিনিট পর ফের গোল হজম করে আবাহনী। হাসান নাইজের দূরপাল্লার শট শহীদুল ফিস্ট করার পর এজেকিয়েল ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
৭৩তম মিনিটে কর্নারের পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে বেলফোর্টের শট গোললাইন থেকে ফেরান মাজিয়া অধিনায়ক মোহামেদ ইরফান। একটু পর সোহেল রানার শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে যায়। ৮০তম মিনিটে রায়হানের থ্রো ইনে বেলফোর্ট টোকা দেওয়ার পর চিজোবা প্লেসিং শটে সমতা ফেরান।
বাকিটা সময় আর প্রতিশোধ নেওয়া গোলের দেখা পায়নি আবাহনী। ২০১৭ সালে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে মাজিয়ার কাছে দুই পর্বেই হেরেছিল তারা।