মাজিয়ার জালে গোল চাই আবাহনীর

গত লিগে সবচেয়ে কম গোল খাওয়া দলের তালিকায় আবাহনী লিমিটেডের অবস্থান ছিল পঞ্চম। এএফসি কাপের প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে গোলের হিসেবটা তাই ভালোভাবে কষছেন মারিও লেমোস। আবাহনী কোচের লক্ষ্য, ক্লিনশিট ধরে রেখে গোল দেওয়ার দিকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 01:21 PM
Updated : 3 Feb 2020, 01:21 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী বুধবার প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে মালদ্বীপের দল মাজিয়ার মুখোমুখি হবে আবাহনী। সোমবার নিজেদের মাঠে অনুশীলনের পর লেমোস লক্ষ্যসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে নিজের প্রত্যাশা-পরিকল্পনা জানান।

“অবশ্যই আমরা আগে গ্রুপ পর্ব পার হতে চাইব। ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে খেলতে চাই। মাজিয়ার বিপক্ষে সেটাই পরিকল্পনা। হোম ও অ্যাওয়ের সুবাদে অনেকগুলো ম্যাচ পাব আমরা। এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। এবং অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে এই ম্যাচটা জেতা আমাদের জন্য জরুরি।”

“নিজেদের মাঠে কোনো গোল খাওয়া যাবে না। কারণ, যদি আমরা হোমে গোল খেয়ে যাই, তাহলে আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে পরের রাউন্ডে যাওয়া। আমরা যদি গোল করতে পারি, তাহলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার ব্যাপারে ভালো একটা অবস্থানে থাকব।”

গত আসরে প্রথমবারের এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনাল খেলেছিল আবাহনী। এই ধাপে ওঠার পথে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চার ম্যাচের সবগুলোতে জিতেছিল তারা। গতবারের এই প্রাপ্তি থেকেও অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন লেমোস।

“মাজিয়া ভালো দল। ওদের দুজন বিদেশি সেন্টার ব্যাক আছে। একজন গোলকিপার বিদেশি। ওরাই হয়তো পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। কিন্তু ওরাও ভুল করতে পারে মাঠে। এএফসি কাপ একেবারে আলাদা একটা প্রতিযোগিতা।”

“গতবার আমরা সেমি-ফাইনালে খেলেছি। এটা অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। আমি মনে করি, আবাহনী ভালো দল। আমাদের জেতা উচিত। গত মৌসুমে ঢাকায় আমরা একটা ম্যাচও হারিনি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।”

চোটের কারণে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে খেলতে পারেননি গত লিগে ১৬ গোল করা ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন। চোট কাটিয়ে আবাহনীর অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। চোট সমস্যা না থাকায় লেমোস আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।

“আমাদের জন্য সুসংবাদ হলো কোনো ইনজুরি নেই দলে। জীবন সুস্থ হয়ে উঠেছে। ও এখন ভালো একটা অবস্থানে আছে। গোল্ড কাপের অসুস্থতার পর টানা দুই সপ্তাহ ধরে সে অনুশীলন করেছে। আমার মনে হয় সে ভালো করবে মাঠে।”

“টুটুল হোসেন বাদশা অসুস্থতা থেকে ফিরেছে। দু-তিন দিন অনুশীলন করছে। ও দ্রুত ফিট হয়ে উঠবে। ওকে পাওয়া যাবে। গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলসহ সবাই ভালো আছে।”

“আমাদের বিদেশিরা ভালো করছে। তবে একটা বিষয় হলো আমাদের অবশ্যই গোল করতে হবে। ফুটবলে কখনও বাজে দিন আসে, কখনও ভালো দিন আসে। যদি কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট ও সানডে চিজোবা একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারে, তাহলে কে না জানে দিনটা আমাদেরই হবে। ওরা যদি ভালো অবস্থায় থাকে তাহলে ওরা খুব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।”