নিজের শক্তি ও সামর্থ্যের প্রমাণ রেখে মেলবোর্ন পার্কে রোববার চীনের ওয়াং কিয়াংকে ৭-৬ (৭-৪), ৬-১ গেমে হারান জাবের। ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছিলেন কিয়াং।
ম্যাচ শেষে মার্গারেট কোর্ট অ্যারেনার হাজার হাজার দর্শকের অভিনন্দনে সিক্ত হন জাবের। এ সময় ২৫ বছর বয়সী তরুণী জানান আবর বিশ্বের তরুণদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের স্বপ্নের কথা।
“দেশে তরুণ প্রজন্মকে আমি উৎসাহ যোগানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি, তিউনিশিয়ায় কিংবা আরব বিশ্বে, বিশেষ করে আফ্রিকায়, যেটি অসাধারণ। এটি অসম্ভব নয়, আমি করতে পেরেছি।”
তার দেশের বাস্তবতায় পেশাদারী খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে তৈরি করা সহজ ছিল না জাবেরের জন্যে। বিদেশ থেকে তার কাছে ভালো প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু তা ফিরিয়ে জন্মভূমিতেই নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করেছেন তিনি।
আগের রাউন্ডে বিশ্বের এক নম্বর তারকা কারোলিন ওজনিয়াকিকে হারানো জাবের নিজেকে ‘শতভাগ তিউনিশিয়ান’ হিসেবে দাবি করেন।
“যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে যাওয়ার অনেক প্রস্তাব আমি পেয়েছিলাম…কিন্তু সেই বিকল্প আমি বেছে নেইনি।”
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৭৮ নম্বরে থাকা জাবের জানান তার এগিয়ে চলার কথা, স্বপ্নের কথা।
“আমি চেয়েছিলাম সরাসরি পেশাদার হতে। জানতাম, যদি কলেজে খেলি, তবে পেশাদার টুর্নামেন্টে খেলতে পারব না।”
“তিউনিশিয়ায় এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি নয়। তবে এখন আশা করি, আমরা এসব আরও বেশি বেশি দেখব।”
শেষ আটে জাবেরের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ১৪তম বাছাই সোফিয়া কেনিন। স্বদেশি ১৫ বছরের কিশোরী কোকো গাউফকে হারিয়ে কেনিনও প্রথমবারের মতো ওঠেন কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়াটর্টার-ফাইনালে।