২০০৯ সালে রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মূলত শুরু হয় দুজনের পরস্পরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে নয় বছরের ক্যারিয়ারে ইতি টেনে ২০১৮ জুলাইয়ে ১১ কোটি ২০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফিতে ইউভেন্তুসে যোগ দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। ততদিনে রিয়ালের হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি লা লিগাসহ জেতেন অনেক শিরোপা। সব প্রতিযোগিতা মিলে রিয়ালের হয়ে করেন ক্লাব রেকর্ড ৪৫০ গোল।
বার্সেলোনার হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও রেকর্ড ১০টি লা লিগা জয়ী মেসিও এ সময়ে গড়েন অনেক রেকর্ড। রোনালদোর স্পেনে থাকাকালীন সময়ে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলের মালিক মেসি সব প্রতিযোগিতা মিলে করেন ৪৭২ গোল। পরে ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতে বর্ষসেরার লড়াইয়ে টপকে যান রোনালদোকে।
রোনালদো রিয়াল ছাড়ার পর দুজন আর মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাননি। তবে অসাধারণ সব লড়াইয়ের স্মৃতি রয়ে গেছে। এক সাক্ষাৎকারে সেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন মেসি।
“এটা ছিল বিশেষ একটা কিছু। আমাদের দ্বৈরথ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কেননা অনেক বছর ধরে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা চলেছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এত লম্বা সময় ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাওয়াটা সহজ নয়।”
“আরও একটা কারণ ছিল, আমরা যে দুই দলে খেলছিলাম; মাদ্রিদ ও বার্সা, দুটোই বিশ্বের সেরা ক্লাব এবং সেখানে প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। এত বছর ধরে পরস্পরের সঙ্গে এই লড়াই সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
মেসির দাবি, মাঠের এই লড়াই কখনোই তাদের মাঠের বাইরের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেনি।
“মাঠের লড়াই থাকলেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের সম্পর্ক ছিল খুবই চমৎকার। আমি মনে করি লোকে এই লড়াই উপভোগ করেছেন, মাদ্রিদ বা বার্সা যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন। এমনকি যারা শুধু এমনিই ফুটবলকে পছন্দ করে, তারাও এটা উপভোগ করেছে।”