বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার জমজমাট ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। গতবার ফাইনালে আবাহনী লিমিটেডের কাছে হেরে রানার্সআপ হওয়ার দুঃখে এবার প্রলেপ দিল অস্কার ব্রুসনের দল।
ফেডারেশন কাপ পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। এর আগে আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র-এই ছয় দলের আছে এক বা একাধিকবার এ শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা।
হাজার পাঁচেক সমর্থকের কলরবে শুরু হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে মতিন মিয়ার হাত ধরে আক্রমণে ওঠে বসুন্ধরা। কিন্তু ডি-বক্সে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন এই ফরোয়ার্ড। এরপর দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার কর্নারে বখতিয়ার দুইশবেকভের হেড ড্রপ খেয়ে পোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।
অষ্টম মিনিটে কর্নারে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস দেলমন্তের হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে রহমতগঞ্জের ত্রাতা নাহিদুর ইসলাম নাহিদ।
৪০তম মিনিটে কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার আকপোপভ আসরোরভ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পরের মিনিটেই গোল হজম করে রহমতগঞ্জ। ডান দিক থেকে বিশ্বনাথ ঘোষের বাড়ানো ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড সোলেরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে রহমতগঞ্জের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে বসুন্ধরা। ৫৮তম মিনিটে দুইশবেকভের প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরে।
খেলার ধারার বিপরীতে ৬৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে আবাহনী ও মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে ফাইনালে উঠে আসা রহমতগঞ্জ। শাহেদুল আলমের কর্নারে গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড মোমোদু বাহর হেডে পরাস্ত হন জিকো।
এরপর গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটনের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় রহমতগঞ্জ। মতিনের ক্রসে মাহবুবুর রহমান সুফিলের শট লিটন ফেরানোর পর সোলেরার প্রচেষ্টা জটলার মধ্যে আটকে যায়।
৭১তম মিনিটে লিটনেরই হাস্যকর ভুলে এগিয়ে যায় প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা। সতীর্থের ব্যাক পাস বিপদমুক্ত না করে সময় নষ্ট করেন গোলরক্ষক, দ্রুত দৌড়ে এসে বল ছিনিয়ে নিয়ে ফাঁকা পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন সোলেরা।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের বিশ্বনাথ ঘোষ। ৪ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশ পুলিশ এফসির ফরোয়ার্ড সিডনি রিভেইরা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন দলের ফরোয়ার্ড সোলেরা।