আরসিডিই স্টেডিয়ামে শনিবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে লুইস সুয়ারেস ও আর্তুরো ভিদালের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ডি ইয়ংয়ের লাল কার্ডের পর পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। শেষ দিকে গোল খেয়ে ২-২ ড্র করে ফেরে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের জার্সি টেনে ধরায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ডি ইয়ং। লিগ ফুটবলে ডাচ মিডফিল্ডারের ক্যারিয়ারে প্রথম লাল কার্ড এটি। এর খানিক পর ফরোয়ার্ড গ্রিজমানকে বসিয়ে ডিফেন্ডার নেলসন সেমেদোকে নামান কোচ। অনেক প্রচেষ্টার পরও আর গোলের দেখা পায়নি সফরকারী দলটি।
লিগে শেষ চার ম্যাচে বার্সেলোনার জয় মাত্র একটি। ম্যাচ শেষে ভালভারদে জানালেন, নিজেদের দূর্বলতা ও পয়েন্ট হারানোর কারণ।
“প্রতিটা ম্যাচে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমরা শুরু করেছিলাম বাজেভাবে। ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দশ জনে পরিণত হলাম। এরপর তারা চাপ বাড়িয়ে সমতায় ফিরল।”
“ফ্রেংকির লাল কার্ড আমাদের অনেক ক্ষতি করে। আমরা তৃতীয় গোল করতে ব্যর্থ হই। এটাই ফুটবল।”
সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে বার্সেলোনার চিত্রটা অবশ্য ঘুরেফিরে একই রকম, পিছিয়ে পড়ে জয় নতুবা ড্র। লেগানেসের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে ২-১ গোলের জয় পেলেও রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে তারা ২-২ ড্র করেছিল। কঠিন সময়ে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা আছে বলে মনে করেন ভালভারদের।
“অনেক ম্যাচে আমাদের শুরুটা ভালো হয়। চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচে আমরা শুরুতে এগিয়ে গেছি। যেখানে অন্য ম্যাচগুলোতে আমরা পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”
“আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা আছে। তবে সব সময় আমরা ম্যাচ এভাবে শেষ করতে পারি না। লাল কার্ড ম্যাচকে প্রভাবিত করেছিল।”
১৯ ম্যাচ শেষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সমান ৪০ পয়েন্ট বার্সেলোনার। গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।