বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৩-০ গোলে জিতে প্রতিযোগিতাটির গতবারের রানার্সআপ বসুন্ধরা। আগামী রোববার ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির মুখোমুখি হবে তারা।
নবম মিনিটে বুলগেরিয়ার মিডফিল্ডার আন্তোনিও লাসকভের ফ্রি কিক ফিস্ট করে ফেরান বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তিন মিনিট পর কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড দেনিয়েল কলিন্দ্রেস সোলেরার ব্যাক ভলি পুলিশের জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।
ষোড়শ মিনিটে বখতিয়ারের ডিফেন্স চেরা থ্রু পাস ধরে আক্রমণে ওঠা সোলেরাকে পেছন থেকে খান মোহাম্মদ তারা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। তপু বর্মন নিখুঁত শটে এগিয়ে নেন গত প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নদের। ২৬তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও মাহবুবুর রহমান সুফিল উড়িয়ে মারলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বসুন্ধরার তাজিকিস্তানের ফরোয়ার্ড আখতাম নাজারভের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৪৯তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে দ্রুত আক্রমণে ওঠা সোলেরা কাছের পোস্ট দিয়ে পরাস্ত করেন আরিফুজ্জামান হীমেলকে। ব্যবধান দ্বিগুণের সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও মুঠোয় নেয় বসুন্ধরা।
পুলিশ ৫৫তম মিনিটে আরেক গোল হজম করতে বসেছিল। হীমেলের গ্লাভস গলে বেরিয়ে যাওয়ার পর মোহাম্মদ ইব্রাহিম টোকা দিলে বল পেয়ে যান সামনে থাকা বখতিয়ার। এই মিডফিল্ডারের শট গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার। ছয় মিনিট পর লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে ব্যবধান বাড়াতে পারেননি তপু বর্মন।
৮৬তম মিনিটে ইব্রাহিম জাল খুঁজে পেলেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। এরপর নাজারভের শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট।
যোগ করা সময়ে সিডনি রিভেরাইরার জোরালো শট অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে ম্যাচে ফেরা হয়নি পুলিশের। উল্টো শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে দারুণ শটে বসুন্ধরার বড় জয় নিশ্চিত করে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস দেলমন্তে।