পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ
কোনো এক ক্লাবের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলের মালিক পেলে। স্বদেশি ক্লাব সান্তোসের হয়ে তিনি ৬৪৩ গোল করেছিলেন বলে দাবি করা হয়। মেসির গোল ৬১৮টি। বার্সেলোনা অধিনায়ক যে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তা ধরে রাখতে পারলে এই বছরেই পেলেকে ছাপিয়ে যেতে পারেন তিনি।
পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা
চারবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্সশিপ শিরোপা জিতেছেন মেসি। সবশেষটি ৫ বছর আগে, ২০১৫ সালে। পাঁচ বছর পর এবার শিরোপাটি আবার জিততে মরিয়া মেসি ও তার দল। আর সে লক্ষ্য পূরণ হলে রেকর্ড ছয়বার জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা ফ্রান্সিসকো গেন্তোর আরও কাছে চলে যাবেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। একই কীর্তি হবে বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকেরও।
একাদশ লা লিগা শিরোপা
গত এগারো মৌসুমে আট বার লা লিগা শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা, শেষ ১৫ মৌসুমে দশ বার। এর প্রতিটির সঙ্গেই জড়িয়ে লিওনেল মেসির নাম। চলতি মৌসুমের শিরোপা জিতলে চলে যাবেন ফ্রান্সিসকো গেন্তোর আরও কাছে। সর্বোচ্চ ১২টি লা লিগা শিরোপার রেকর্ড গেন্তোর।
কোপা দেল রে’তে রেকর্ড ৩০ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। মেসি জিতেছেন ৭ বার। আরেকবার জিতলে বসবেন রেকর্ড আট বারের চ্যাম্পিয়ন হোসে মারিয়া বেলাউস্তে ও আগুস্তিন ‘পিরু’ গাইন্সার (দুজনই আথলেতিক বিলবাওয়ের সাবেক খেলোয়াড়) পাশে।
প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৮১ গোল করা তেলমো সাররার সঙ্গে ব্যবধান কমানোরও সুযোগ থাকছে মেসির সামনে। ৫১ গোল নিয়ে বর্তমানে আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে।
সপ্তম ব্যালন ডি’অর
রেকর্ড ছয় বার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি। এবার তার সামনে সংখ্যাটাকে আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ।
এ পর্যন্ত রেকর্ড ছয় বার ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলতাদার পুরস্কার গোল্ডেন শু জিতেছেন মেসি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গত বছর জিতেন টানা তৃতীয়বারের মতো। সুযোগ এবার টানা চতুর্থবারের মতো জেতার।
রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন গোল্ডেন শু। আর এর প্রতিবারই জিতেছেন স্পেনের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফি। সমান ছয়টি পিচিচি ট্রফি আছে কেবল আর এক জনের, তেলমো সাররার। এবার মেসির সামনে সুযোগ রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার।
সর্বোচ্চ ক্লাসিকো খেলার রেকর্ড
গত মাসে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচ দিয়ে চাভি এরনান্দেসের সর্বোচ্চ ৪২টি ‘ক্লাসিকো’ খেলার ক্লাব রেকর্ডে ভাগ বসান মেসি। ক্লাবের ইতিহাসে রেকর্ডটিও এবার তার একার করে নেওয়ার সুযোগ। সব মিলে ৪৩টি ক্লাসিকো খেলার রেকর্ড রিয়াল অধিনায়ক সের্হিও রামোসের।
বার্সার হয়ে ম্যাচ খেলার রেকর্ড
বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ড চাভির। মেসি খেলেছেন ৭০৫টি। এ বছর তিনি সাবেক সতীর্থকে স্পর্শ করতে পারবেন না বটে, তবে ব্যবধানটা কমিয়ে আনার সুযোগ থাকছে তার সামনে।
বার্সার হয়ে এ পর্যন্ত ৩৪টি মেজর শিরোপা জিতেছেন মেসি। আর ৩টি জিতলে কোনো এক ক্লাবের হয়ে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা রায়ান গিগসের (৩৬) শিরোপার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবেন ফুটবল জাদুকর।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা
১২৮ গোল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ১১৪ গোল নিয়ে তার পরেই আছেন মেসি। মৌসুমে এখনও অনেকগুলো ম্যাচ বাকি। সামনে কী অপেক্ষা করছে তা সময়ই বলে দেবে।
ক্লাবের হয়ে দুহাত ভরে সাফল্য পেলেও একটি আক্ষেপ রয়েই গেছে সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারের-জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জিততে না পারা। ২০২০ কোপা আমেরিকা দিয়ে সেই আক্ষেপ ভোলার সুযোগ মেসির সামনে।