কাতারের দোহায় শনিবার অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতে লিভারপুল। ম্যাচের ৯৯তম মিনিটে রবের্ত ফিরমিনোর গোল গড়ে দেয় ব্যবধান। ক্লান্তি-শ্রান্তিকে জয় করে লিভারপুলের এই জয় দলের চরিত্র ফুটিয়ে তুলছেন, বলছেন ক্লপ।
“তুমুল লড়াইয়ের ম্যাচে আমরা প্রায় নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই সময়গুলিতেই আমি ছেলেদের প্রশংসার ভাষা খুঁজে ফিরি। এটা ছিল অবিশ্বাস্য। অনেক কিছুই ভালো করেছি আমরা। সবাই নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। কত যে রোমাঞ্চকর ও ভালো পারফরম্যান্স ছিল ম্যাচে!”
ব্রাজিলিয়ান একটি দলের বিপক্ষে জয় বলেই এই সাফল্যের গৌরব বেশি ছুঁয়ে যাচ্ছে ক্লপকে। কোপা লিবার্তাদোরেস চ্যাম্পিয়নদের সমর্থন দিতে এদিন মাঠে উপস্থিত ছিল প্রচুর দর্শক।
“আমি আগে বলেছিলাম, জানি না (চ্যাম্পিয়ন হলে) অনুভূতি কেমন হবে; এখন বলতে পারি- এটা অসামান্য।”
“একজন যদি গোল না করে, তাহলে অন্য একজন বা দুইজন গোল করছে। এই ম্যাচে তার (ফিরমিনো) গোল আমাদের প্রয়োজন ছিল এবং ওর জন্য এর চেয়ে বেশি খুশি আমি আর হতে পারতাম না।”
ফ্লামেঙ্গো কোচ জর্জ জেসুস হেরেও গর্বিত তার দলের পারফম্যান্স নিয়ে।
“আমাদের ভুলে গেলে চলবে না লিভারপুল ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালি দল। আমরা লিভারপুলের সঙ্গে সমানে লড়েছি এবং প্রথম ৯৫ মিনিট তেমন কোনো সমস্যায় পড়িনি। এমনকি ম্যাচের অনেকটুকু সময় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবে দুটি বড় দল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। দিনশেষে আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে ও ওদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত।”