প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল।
নাপোলির মাঠে হেরে শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করা লিভারপুল পরের পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হলো।
একই সময়ে শুরু হওয়া গ্রুপের আরেক ম্যাচে বেলজিয়ামের ক্লাব হেঙ্ককে ৪-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে নাপোলি। ইতালিয়ান ক্লাবটির পক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন পোলিশ ফরোয়ার্ড আর্কাদিউশ মিলিক, আরেক গোলদাতা ড্রিস মের্টেন্স। তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১২।
এক পয়েন্ট পেলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত-এমন সমীকরণ সামনে রেখে আক্রমণাত্মক শুরু করে লিভারপুল। প্রথম পাঁচ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগও পেয়েছিল তারা; তবে মোহামেদ সালাহর শট গোলরক্ষক ঠেকানোর পর সাদিও মানের কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথম লেগে লিভারপুলের মাঠে তিন গোল করা সালসবুর্কও পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। অষ্টম মিনিটে মুহূর্তের ব্যবধানে লক্ষ্যে দুটি শট নেয় তারা, দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন গোলরক্ষক আলিসন। ২৮তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে ফের হতাশ করেন সালাহ।
প্রতিপক্ষের ওপর প্রচণ্ড চাপ বাড়ানো লিভারপুলের গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ৫৭তম মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে আরও সামনে এগিয়ে ছোট ডি-বক্সের মুখে দারুণ এক ক্রস বাড়ান মানে। আর লাফিয়ে নেওয়া হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন অরক্ষিত মিডফিল্ডার নাবি কেইতা।
পরের মিনিটে অসাধারণ এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালাহ। পাল্টা আক্রমণে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ছুটে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরুহ কোণ থেকে গোলটি করেন তিনি। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে বল প্রথম পোস্ট ঘেঁষে গিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
ম্যাচের শুরু থেকে প্রায় সমানতালে আক্রমণ করে যাওয়া স্বাগতিকরা দুই গোল খেয়ে যেন খেই হারিয়ে ফেলে। বাকিটা সময় তাদের ওপর একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে লিভারপুল। বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগও তৈরি করেছিল তারা, কিন্তু ব্যবধান আর বাড়েনি।
দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করল অস্ট্রিয়ার দল সালসবুর্ক। তলানির দল হেঙ্কের পয়েন্ট ১।