দেশের বাইরের এসএ গেমসে নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ

এসএ গেমসের সপ্তম দিনে দেশের বাইরে পাওয়া সেরা সাফল্যকে ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ। অষ্টম দিন সকালেই আর্চারির রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে সোনা জিতে এই আসরের অ্যাথলেটরা গড়ল সাফল্যের নতুন ইতিহাস। 

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়ের পোখারা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2019, 07:36 AM
Updated : 8 Dec 2019, 01:10 PM

পোখারায় রোববার আর্চারির রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ভুটানকে ৫-৩ সেটে হারায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে খেলেন রোমান সানা, তামিমুল ইসলাম ও হাকিম মোহাম্মদ রুবেল।

এবারের আসরে এটি বাংলাদেশের অষ্টম সোনার পদক।

দেশের বাইরে আগের সেরা সাফল্য ছিল ১৯৯৫ সালে, মাদ্রাজের এসএ গেমসে। সেবার ৭টি সোনার পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ।

দেশের মাটিতে গেমসে অবশ্য এর চেয়েও বেশি সাফল্য আছে। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো এসএ গেমসে আয়োজন করে বাংলাদেশ জিতেছিল ৯টি সোনা। ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় দফার আয়োজনে অর্জন ১১টি। আগের দুই আসর ছাপিয়ে ২০১০ সালে ১৮টি সোনার পদক জিতেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ।

এবারের আসরের দ্বিতীয় দিনে ছেলেদের তায়কোয়ান্দোতে ২৯ (প্লাস) বয়স ক্যাটাগরিতে ৮ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৯৬ স্কোর গড়ে সোনা জিতেন দিপু চাকমা। বাংলাদেশও পায় প্রথম সোনার পদকের দেখা।

পরের দিন তিনটি সোনা আসে কারাতে ইভেন্ট থেকে। পুরুষ একক কুমিতের অনূর্ধ্ব-৬০ কেজিতে আল আমিন, কুমিতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে মারজান আক্তার প্রিয়া এবং কুমিতে অনূর্ধ্ব-৬১ কেজিতে হুমায়রা আক্তার অন্তরা সোনা জিতেন। বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলে গত আসরের সাফল্যকে।

পোখারায় গত শনিবার মেয়েদের ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৮৫ কেজি তুলে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত সোনা জিতলে গত আসরের সাফল্যকে ছাপিয়ে যায় বাংলাদেশ।

ভারোত্তোলনে ছেলেদের ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ২৬২ কেজি তুলে জিয়ারুল ইসলাম এবং ফেন্সিংয়ে মেয়েদের সেইবার এককে ফাতেমা মুজিব সেরা হলে মাদ্রাজের সাফল্যকে স্পর্শ করে বাংলাদেশ।

এরপর কেবল নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা। রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে জয়ের পর আর্চারি থেকে এসেছে আরও দুটি সোনার পদক। অষ্টম দিন সকালেই বাংলাদেশের মোট সোনার পদক হয়ে গেছে ১০টি।