প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লিগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে হেরেছে শেষ দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ইউভেন্তুস। বিরতির ঠিক আগে সমতা টানেন লুইস ফেলিপে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে সের্গেই মিলিনকোভিচ-সাভিচের গোল স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর তাদের জয় নিশ্চিত করেন ফেলিপে কাইসেদো।
আসরের প্রথম ১৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর হারের স্বাদ পেল মাওরিসিও সাররির দল।
শীর্ষস্থানের হাতছানিতে মাঠে নামা ইউভেন্তুসের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে চাপ বাড়ানো দলটি ২৫তম মিনিটে পায় গোলের দেখা। উরুগুয়ের মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্তানকুরের দারুণ পাস ছোট ডি-বক্সে পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান রোনালদো।
পিছিয়ে পড়ে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে লাৎসিও। সাফল্যের দেখা মেলে বিরতির ঠিক আগে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে লুইস আলবের্তোর ক্রসে হেডে দলকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফেলিপে।
৬৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইউভেন্তুস। প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার মানুয়েল লাজ্জারিকে বিপজ্জনক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন হুয়ান কুযাদরাদো। কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডারকে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি, তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে বহিষ্কার করেন তাকে।
১০ জনে নেমে যাওয়ার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে টানা আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৭৪তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে সতীর্থের লম্বা উঁচু করে বাড়ানো বল ডান পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন সার্বিয়ার মিডফিল্ডার মিলিনকোভিচ-সাভিচ।
দুই মিনিট পর চ্যাম্পিয়নদের জন্য হতে পারতো আর বড় বিপদ। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার হোয়াকিন কোররেয়াকে গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে চিরো ইম্মোবিলের স্পট কিক ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি পোলিশ গোলরক্ষক।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইউভেন্তুস ৭৯তম মিনিট দিবালাকে বসিয়ে তারই স্বদেশি গনসালো হিগুয়াইনকে নামায়। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি।
উল্টো যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে তৃতীয় গোল হজম করে ইউভেন্তুস। লাৎসিওর প্রথম প্রচেষ্টা গোলরক্ষক ঠেকানোর পর জোরালো ভলিতে স্কোরলাইন ৩-১ করেন একুয়েডরের ফরোয়ার্ড কাইসেদো।
১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউভেন্তুস। ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে ইন্টার মিলান।
আর ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে লাৎসিও।