ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ২-১ গোলে জিতেছে উলে গুনার সুলশারের দল। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ায় সিটির শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনায় ছিল শিরোপাধারীরা। কিন্তু এদিনের ইউনাইটেড ছিল ভিন্ন রূপে, আগ্রাসী পরিকল্পনায়। প্রতিপক্ষ বলের দখল নিয়ন্ত্রণে রাখলেও আক্রমণে সফরকারীরা ছিল ভীষণ ধারালো।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৩তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় ইউনাইটেড। ডি-বক্সে মার্কাস র্যাশফোর্ডকে মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভা ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড র্যাশফোর্ড।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে র্যাশফোর্ডের শট ক্রসবারে বাধা পেলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় সিটি।
অবশ্য বারবার রক্ষণ উন্মুক্ত হয়ে পড়া সিটি দ্বিতীয় গোল হজম করে খানিক পরেই। ২৯তম মিনিটে ফরাসি ফরোয়ার্ড অঁতনি মার্সিয়ালের নেওয়া শট কাছের পোস্টের ভিতরের কানায় লেগে জালে জড়ায়। দল ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ায় যেন স্তব্ধ হয়ে যায় ইতিহাদে আসা সিটি সমর্থকরা।
ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেও আক্রমণে সুবিধা করতে পারছিল না সিটি। শেষ দিকে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। ৮৫তম মিনিটে নিকোলাস ওতামেন্দি ব্যবধান কমালে নাটকীয় শেষের সম্ভাবনা জাগে। হেডে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার।
দুই মিনিট পর দারুণ একটি সুযোগও পেয়েছিল গত মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের সবকটি শিরোপা জেতা দলটি। তবে রিয়াদ মাহরেজের নিচু শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত করেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া।
১৬ ম্যাচে ছয়টি করে জয় ও ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
বোর্নমাউথকে ৩-০ গোলে হারানো লিভারপুল ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। এক ম্যাচ কম খেলা লেস্টার সিটি ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। তৃতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ১৬ ম্যাচে ৩২।
এভারটনের মাঠে ৩-১ গোলে হারা চেলসি ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে। ইউনাইটেডের জয়ে ছয় নম্বরে নেমে যাওয়া টটেনহ্যাম হটস্পারের পয়েন্ট ২৩।
১০ নম্বরে নেমে যাওয়া আর্সেনালের অর্জন ১৫ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট।