অবিশ্বাস্য গোলটি সনের ‘জীবনের সেরা’

নিজেদের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে বল পেলেন। ক্ষিপ্র গতি আর পায়ের কারিকুরিতে উপহার দিলেন জাদুকরী এক গোল। মনে করিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার সেই দুর্দান্ত একক গোলের কথা। স্বাভাবিকভাবেই বার্নলির বিপক্ষে করা অবিশ্বাস্য গোলটি সন হিয়ুং-মিনের কাছে জীবনের সেরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2019, 07:21 PM
Updated : 7 Dec 2019, 08:26 PM

ঘরের মাঠে শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারের ৫-০ ব্যবধানের জয়ে দুর্দান্ত গোলটি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড।

৩২তম মিনিটের ঘটনা; ম্যাচে টটেনহ্যাম তখন ২-০ গোলে এগিয়ে। প্রতিপক্ষের একটি দুর্বল আক্রমণ ভেস্তে দেওয়ার পর ডি-বক্সের বাইরে বল পান হিয়ুং-মিন। ক্ষিপ্র গতিতে দুজনকে পেছনে ফেলেন, ফাঁকি দেন আরও দুজনকে, দু’পাশ থেকে আরও দুজন এসেও রুখতে পারেনি তাকে। ডি-বক্সে ঢুকে নেন ডান পায়ের নিখুঁত শট। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মারাদোনার দ্বিতীয় গোলটিকে অনেকেই ডাকেন ‘গোল অব দা সেঞ্চুরি’ বলে। অনেকের মতে ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরা একক গোল। বার্নলির বিপক্ষে ১১ সেকন্ডে যে নৈপুণ্য দেখালেন হিয়ুং-মিন, সেটি মনে করিয়ে দিল আর্জেন্টাইন জাদুকরের সেই গোলকে। বল পাওয়ার পর পাস দেওয়ার জন্য সতীর্থকে খুঁজছিলেন টটেনহ্যামের ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। 

“আমার জীবনের সেরা গোল। শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে, আমি ঠিক জানি না। যখন আমি বল পেলাম তখন ডেলে আলিকে পাস দিতে চেষ্টা করেছিলাম এবং তার মুভমেন্টের অপেক্ষা করছিলাম।”

“তবে তাকে খুঁজে পাইনি। তাই আমি শুধু এগিয়েই গিয়েছিলাম। গোলটি করে আমি খুশি।”

এবারের লিগে হিয়ুং-মিনের এটি পঞ্চম গোল। সতীর্থদের দিয়েও সাতটি গোল করিয়েছেন তিনি।

ম্যাচটিতে টটেনহ্যামের পক্ষে জোড়া গোল করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। শেষ গোলটি করেন সিসোকো।