ভারোত্তোলনে মাবিয়ার পর সোনা উপহার দিলেন জিয়ারুল

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ভারোত্তোলনে দারুণ কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ। মাবিয়া আক্তার সীমান্তের পর এবার সোনার হাসি উপহার দিলেন জিয়ারুল ইসলাম। আগের ১২ আসরে কখনই এই ইভেন্ট থেকে একটার বেশি সোনার পদক জয়ের গল্প যে ছিল না!

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরকাঠমান্ডু থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2019, 09:17 AM
Updated : 7 Dec 2019, 12:01 PM

পোখারায় শনিবার ছেলেদের ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ (১২০ কেজি) ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক (১৪২ কেজি) মিলিয়ে ২৬২ কেজি তুলে সেরা হন জিয়ারুল। নেপালের বিশাল সিং সব মিলিয়ে ২৪৭ কেজি তুলে রুপা এবং ভুটানের কিনলে গাইয়েলতসেন ১৭০ কেজি তুলে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।

অনুশীলনে কষ্ট করার ফল নেপালে পাওয়ায় খুশি জিয়ারুল।

“আল্লাহ যার কপালে যা লিখে রেখেছে, সে সেটা পাবে। আমি কষ্টও করেছি। আর কষ্ট করলে কেষ্টো মেলে। কোচ আমাদের অনেক কষ্ট করিয়েছেন। এজন্য আমরা সফল হয়েছি।”

জিয়ারুলের আগে মেয়েদের ভারোত্তোলনের ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতেন মাবিয়া। স্ন্যাচে ৮০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৫ কেজি, মোট ১৮৫ কেজি ওজন তুলে সেরা হন গত এসএ গেমসে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জেতা এই ভারোত্তোলক।

চলতি আসরে এ নিয়ে পঞ্চম সোনার পদক জিতল বাংলাদেশ। সাতদোবাতোর ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ছেলেদের পুমসে ২৯ (প্লাস) বয়স ক্যাটাগরিতে ৮ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৯৬ স্কোর গড়ে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন দিপু চাকমা।

পরের তিনটি সোনা আসে কাতার থেকে। পুরুষ একক কুমিতের অনূর্ধ্ব-৬০ কেজিতে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ হারিয়ে দিনে সোনা জয় করেন আল আমিন।

কারাতের কুমিতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে পাকিস্তানের কৌসরা সানাকে ৪-৩ পয়েন্টে হারিয়ে মারজান আক্তার প্রিয়া এবং কুমিতে অনূর্ধ্ব-৬১ কেজিতে স্বাগতিক নেপালের অনু গুরুংকে ৫-২ পয়েন্টে হারিয়ে হুমায়রা আক্তার অন্তরা সোনা জিতেন।