ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও ভার্জিল ফন ডাইককে হারিয়ে গত সোমবার ২০১৯ সালের ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। ষষ্ঠবারের মতো পুরস্কারটি জিতে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ডটি আবারও এককভাবে নিজের করে নেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।
এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। ফিফার বর্ষসেরা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার শুরুতে আলাদাভাবে দেওয়া হতো। সেবছর দুটিই জিতেছিলেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছর দুটি পুরস্কার একীভূত হয়ে নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি'অর। পরপর তিন বছর ওই পুরস্কার জিতেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এর পরের দুই বছর রোনালদো জেতার পর ২০১৫ সালে ওই সময়ের রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো পুরস্কারটি জিতে নেন মেসি।
২০১৬ সাল থেকে আবার আলাদাভাবে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার দুটি। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি'অর জিতেন রোনালদো; স্পর্শ করেন মেসির রেকর্ড। এবার আবার এগিয়ে গিয়ে মেসি ফিরে তাকলেন পেছনে।
“একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জেতায় আমার অনুভূতিটা দারুণ ছিল।”
“যখন ক্রিস্তিয়ানো আমার সমান হয়ে গেল, স্বীকার করছি যে তা আমাকে কিছুটা ব্যথিত করেছিল, কারণ তখন থেকে আর আমি এককভাবে শীর্ষে ছিলাম না। কিন্তু সেসময় ব্যালন ডি’অর জেতাটা ক্রিস্তিয়ানোর প্রাপ্য ছিল, আর আমার ছিল না। আমি আরও অনেক কিছু করতে পারতাম।”
তবে ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি দলীয় সাফল্য যে আরও বেশি তৃপ্তির, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি।
“আবারও বলি, দলের হয়ে শিরোপা জেতাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ব্যক্তিগত পুরস্কারেরও দারুণ মূল্য আছে। ব্যালন ডি’অরের কথা বললে, সবাই তার নিজের মতো করে ভাবে। তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলায়, অবশ্যই এটা জয়ের তাগিদ সবসময় থাকেই।”