রোববার বিকাল থেকেই সবাই যেন দশরথ স্টেডিয়াম মুখী। পতাকা হাতে, নানা সাজে হাজারো মানুষের ভিড় এসএ গেমসের ত্রয়োদশতম আসরের উদ্বোধনের সাক্ষী হতে। সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই স্টেডিয়াম দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ।
অংশগ্রহণকারী সাতটি দেশের ক্রীড়াবিদদের মাঠ প্রদক্ষিণ, মশাল প্রজ্জ্বলন, খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের মার্চ পাস্টে অংশ নেওয়া-রীতি মেনে সবই হলো। মশাল নিভবে ১০ ডিসেম্বর। তার আগে কাঠমান্ডু, পোখারা এবং জানাকপুরে চলবে ক্রীড়াযজ্ঞ।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এসএ গেমস আয়োজন করছে নেপাল। ১৯৮৪ সালে প্রতিযোগিতার প্রথম আসর আয়োজনের গর্ব তাদের সঙ্গী। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজক হয়েছিল দেশটি। এবার প্রতিযোগিতায় ২৬টি ডিসিপ্লিনে ২ হাজার ৭১৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন। কর্মকর্তা, কোচ, স্টাফ মিলিয়ে এবার অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।
দক্ষিণ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট জীবন রাম শ্রেষ্ঠার স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মশাল প্রজ্জ্বলন করেন এসএ গেমসে তায়কোয়ান্দোতে চারবারের সোনাজয়ী দীপক বিষ্ঠা। মাঠ জুড়ে ছুটে বেড়িয়েছে মাসকট ব্ল্যাকবাক, স্থানীয়রা বিলুপ্তপ্রায় এই কৃষ্ণাসার হরিণকে ডাকে ‘কালোবাকা’।
এত আয়োজনের মধ্যেও একটা বিষয় কারও দৃষ্টি এড়ায়নি। মার্চ পাস্টে সর্বাগ্রে একজনের হাতে ঢাউস আকৃতির জাতীয় পতাকা থাকেই রেওয়াজ। গত এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণ জেতা সাঁতারা মাহফুজা খাতুন শীলার হাতে বাংলাদেশের পতাকা থাকার কথা ছিল। কিন্তু এবার বিস্ময়করভাবে একমাত্র নেপাল দলের সঙ্গে ছিল পতাকা, আর কোনো দলের সামনে ছিল না!