উপলক্ষ্য রাঙালেন মেসি, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বার্সা

বার্সেলোনার জার্সিতে সাতশতম ম্যাচ খেলতে নেমে স্বমহিমায় জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি। দারুণ এক গোল করার আগে-পরে দুই সতীর্থের গোলে রাখলেন অবদান। অধিনায়কের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে কাতালান ক্লাবটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2019, 09:53 PM
Updated : 27 Nov 2019, 10:49 PM

কাম্প নউয়ে বুধবার রাতে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। তাদের অন্য দুই গোলদাতা লুইস সুয়ারেস ও অঁতোয়ান গ্রিজমান।

ম্যাচ শুরু হতেই গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয় মিনিটে নিকো শুল্জেরর কাছ থেকে নেওয়া শট রুখে দেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ফিরতি বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন জার্মান মিডফিল্ডার।

বরাবরের মতো এ ম্যাচের শুরু থেকেও অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। কিন্তু তাদের খেলায় ছিল না চেনা ধার।

এরই মাঝে ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সের মুখে বল পেয়ে নিজে শট না নিয়ে সুয়ারেসকে বাড়ান মেসি। ঠাণ্ডা মাথায় নিচু শটে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। এবারের চ্যাম্পিয়ন্সন লিগে এটা তার তৃতীয় গোল।

চার মিনিট পর ওই দুজনের দারুণ বোঝাপড়াতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। এবারের গোলদাতা মেসি। সুয়ারেসকে বল বাড়িয়ে দ্রুত বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বার্সেলোনা অধিনায়ক এবং সতীর্থের ফিরতি পাস পেয়ে কোনাকুনি শটে আসরে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার।

মৌসুমে মেসির মোট গোল হলো ১০টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল হলো ১১৪টি।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে দুজনকে কাটিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককেও কাটাতে গিয়ে পড়ে যান মেসি। পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠে, কিন্তু রেফারি উল্টো হলুদ কার্ড দেখান মেসিকে। নয় মিনিট পর জার্মান মিডফিল্ডার ইউলিয়ান ব্রান্ডটের কোনাকুনি শট রুখে জাল অক্ষত রাখেন টের স্টেগেন।

৬৭তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান গ্রিজমান। একজনকে কাটিয়ে মেসির ডি-বক্সে বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে ঠিকানায় পাঠান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। বার্সেলোনার জার্সিতে ইউরোপ সেরার মৌসুমে এটা তার প্রথম গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় ছিল জার্মানির ক্লাবটি। কিন্তু তাদের আক্রমগুলো বারবার ভেস্তে যাচ্ছিল। এর মাঝে ৭৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে মেসির দারুণ একটি ফ্রি-কিক ক্রসবারে বাধা পায়।

৭৭তম মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পায় তারা। প্রায় ১৭ গজ দূর থেকে জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে বল লক্ষ্যে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার জেডন স্যানচো।

ম্যাচের শেষটা নাটকীয় রূপ নিতে পারতো। কিন্তু ৮৭তম মিনিটে স্যানচোর আরেকটি জোরালো শট টের স্টেগেনের হাতে লেগে ক্রসবারে লাগলে বরুসিয়ার ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায়।

পাঁচ ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করা বার্সেলোনার পয়েন্ট ১১।

গ্রুপের আরেক ম্যাচে স্লাভিয়া প্রাহাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইন্টার মিলান। তিনে নেমে যাওয়া ডর্টমুন্ডের পয়েন্টও ৭। তলানিতে থাকা প্রাহার পয়েন্ট ২।

‘জি’ গ্রুপে বেনফিকার বিপক্ষে নাটকীয় লড়াইয়ে ২-২ ড্র করা লাইপজিগ ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।

আরেক ম্যাচে লিওঁকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠেছে জেনিত। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে লিওঁ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থাকা বেনফিকার শেষ ষোলোর আশা প্রায় শেষ।