নেপালের কাঠমাণ্ডু-পোখারায় আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হবে এসএ গেমসের এবারের আসর। ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নিবে বাংলাদেশ। কাবাডির ছেলে-মেয়ে দুই বিভাগেই লড়বে দল।
১৯৯৫ সালের মাদ্রাজ এসএ গেমসে রুপা জিতেছিল ছেলেরা। তারপর থেকে ব্রোঞ্জের বলয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে দল। ২০১৬ সালে শিলং-গুয়াহাটির আসরেও মেলেনি প্রত্যাশা-প্রাপ্তির হিসাব। গতবার সে তুলনায় সফল ছিল মেয়েরা। তাদের হাত ধরে এসেছিল আরেকটি রুপার পদক।
কাবাডির দুই বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত ৫টি রুপা ও ৭টি ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ। ছেলেদের বিভাগে ৩টি রুপা ও ৬টি ব্রোঞ্জ এবং মেয়েদের বিভাগে ২টি রুপা ও ১টি ব্রোঞ্জ এসেছে।
এবার কাবাডিতে খেলছে না ভারত। গতবারও ছেলে-মেয়ে দুই বিভাগেই সেরা হয়েছিল তারা। এবার ভারতের না খেলাটা সুযোগ হয়ে এসেছে বাংলাদেশের সামনে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের কোচ সাঞ্জুরাম গয়ালের অধীনে হরিয়ানায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে করা ৫০ খেলোয়াড়ের অনুশীলনের আত্মবিশ্বাস। হরিয়ানা থেকে সরাসরি নেপালে যাবেন মালেকা-মাসুদরা।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) বুধবার জানিয়েছেন এসএ গেমসে সোনা জয়ের আশাবাদ।
“জাতীয় দলের জন্য এবারই প্রথম বিদেশি কোচ এনেছি। এই কোচিং স্টাফের অধীনে নেপালে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসের প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে। সর্বোপরি কাবাডি খেলায় ও ফেডারেশনের কার্যক্রমে আমরা পুরোপুরি একটি পেশাদারিত্বের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, সেই লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যেই অনেকদূর এগিয়েছি।”
“এবারের এসএ গেমসে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী জাতীয় কাবাডি দল অংশ নেবে। ভারত এবার কাবাডিতে অংশ নেবে না। এজন্য আমরা এই ইভেন্টে সোনা জয়ের প্রত্যাশা করছি।”
মহিলা দল: শাহনাজ পারভীন মালেকা, শারমিন সুলতানা রিমা, রূপালী আক্তার, শ্রাবণী মল্লিক, হাফিজা আক্তার, টুকটুকি আক্তার, দিসা মনি সরকার, লাকী আক্তার, স্বরসতী রানী রায়, বৃষ্টি বিশ্বাস, মেবি চাকমা, রেখা আক্তারী।
পুরুষ দল: মাসুদ করিম, জাকির হোসাইন, আনোয়ার হোসাইন, সবুজ মিয়া, আশরাফুল শেখ, মনিরুল চৌধুরী, আব্দুল মুমিন, ফেরদৌস শেখ, নসির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, হাসান আলী, জাবেদ শেখ।