‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মঙ্গলবার আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা বায়ার্নের সার্বিয়ার ক্লাব রেড স্টারের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয়ের ম্যাচে এসব কীর্তি গড়েন লেভানদোভস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধে ১৪ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের মধ্যে গোল চারটি করেন লেভানদোভস্কি। এর চেয়ে দ্রুততম সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোনো ম্যাচে চার গোল করতে পারেননি আর কোনো খেলোয়াড়।
বায়ার্নে যোগ দেওয়ার আগে ২০১৩ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষেও এক ম্যাচে চার গোল করেছিলেন লেভানদোভস্কি। আর মেসি ছাড়া আর কেউই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই বার ম্যাচে চারটি বা তার বেশি করে গোল করার কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। আর্সেনাল ও বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে ম্যাচে চারটি করে গোল আছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের।
ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় আগের ম্যাচে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে গোল করে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে গ্রুপ পর্বে টানা আট ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়েন লেভানদোভস্কি। আর রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে ৫৩তম মিনিটে স্পট কিকে জালে বল পাঠিয়ে রোনালদোর টানা নয় ম্যাচে গোল করার রেকর্ডে ভাগ বসান পোলিশ স্ট্রাইকার।
২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ মৌসুম মিলে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে টানা নয় ম্যাচে গোল করে রেকর্ডটি গড়েছিলেন রোনালদো। ২০১৭ সালে রেকর্ডটি স্পর্শ করার খুব কাছে পৌঁছেছিলেন মেসি। তবে এক ম্যাচ আগেই থামেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে গ্রুপের শেষ ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে জালের দেখা পেলে রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন লেভানদোভস্কি।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত ১০ গোল করে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন লেভানদোভস্কি। মোট ৬৩ গোল করে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে গোলদাতার তালিকায় আছেন পঞ্চম স্থানে।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে বায়ার্নের হয়ে ২০ ম্যাচে ৩১ বছর বয়সী লেভানদোভস্কির গোল ২৭টি। জাতীয় দলের হয়ে ছয় ম্যাচে করেছেন আরও চার গোল।
প্রতিযোগিতার মূল পর্বে এক ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার তালিকাতেও এককভাবে পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন বায়ার্নের হয়ে ৪৬ গোল করে এই ফুটবলার। পেছনে ফেলেছেন ৪২ গোল করা ক্লাব সতীর্থ টমাস মুলারকে।