মঙ্গলবার ঢাকায় এসে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ফুটবল ডিরেক্টর অ্যালান জন ডসন, ডিরেক্টর (ট্যুরস অ্যান্ড ফ্রেন্ডলিস) ক্রিস্টোফার লরেন্স কোমেন, দুই কর্মকতা ফিলিপ ম্যালকম স্মিথ ও চার্লস জোনস।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটির চার প্রতিনিধি ঘুরে দেখেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
ভারতের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ সিএমজির মাধ্যমে ইউনাইটেডকে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নেয় অন্তর শোবিজ। ২০১১ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ হওয়ার মাধ্যমও ছিল সিএমজি।
অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে জানালেন ইউনাইটেডের ক্লাবটির প্রতিনিধি দলের আসার কারণ এবং তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে।
“আগামী জুলাইয়ে প্রাক মৌসুমে তারা এশিয়া সফর করবে, সে অনুযায়ী দুটি দিন ফাঁকা আছে। তার একদিন ঢাকায় ম্যান ইউকে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাদের প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দেশি-বিদেশী মিলিয়ে একটি সেরা দল। আর ম্যাচটির পোশাকি নাম হবে বঙ্গবন্ধু চ্যালেঞ্জ কাপ।”
“তাদের আনতে হলে ৩ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে। এ জন্য অবশ্যই স্পন্সর লাগবে, সঙ্গে সরকারের সহযোগিতাও দরকার হবে। সবার সহযোগিতা থাকলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আনতে পারব আশা করি।”
প্রতিনিধি দল মাঠ পর্যবেক্ষণ করে খুব একটা খুশি হয়নি বলে জানান অন্তর শোবিজের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার।
“তারা জিজ্ঞাসা করেন, মাঠে পাঁচ রকমের ঘাস কেন? মাঠ দেখে খুব একটা খুশি হয়নি। এছাড়াও তারা আর্মি স্টেডিয়াম, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাঠ এবং হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের আবাসন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।”