শেষটা রাঙাতে চান বক্সার রহিম

সবশেষ সোনার পদক এসেছে ২০১০ সালে। আরও পেছনে গেলেও অর্জনের ঝুলি খুব সমৃদ্ধ নয়। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের বক্সিং রিংয়ে আনন্দের চেয়ে বাংলাদেশের আক্ষেপের গল্পই রচিত হয়েছে বেশি। সামনে তাকালে তবু চোখে পড়ছে আশার আলো। আব্দুর রহিম যে আছেন!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2019, 12:05 PM
Updated : 26 Nov 2019, 12:05 PM

বক্সিংয়ে বাংলাদেশের সবশেষ সোনা এসেছিল রহিমের হাত ধরেই। অভিজ্ঞ বক্সার এবারই শেষবার নামবেন এসএ গেমসের রিংয়ে। শেষটা রাঙাতে তিনি বদ্ধপরিকর।

এসএ গেমসের সব আসর মিলিয়ে বক্সিং থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি সাদামাটা। এ পর্যন্ত মিলেছে ৪টি সোনা, ১৭টি রুপা ও ৪৯টি ব্রোঞ্জ।

এই অর্জনকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ আসছে সামনে। আগামী ১ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমাণ্ডু ও পোখারায় শুরু হবে এসএ গেমসের ত্রয়োদশতম আসর। ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নিবে বাংলাদেশ, বক্সিং যার অন্যতম।

গত এসএ গেমসের বক্সিং থেকে ৪টি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল দল। এবার সাত ছেলে, দুই মেয়ে মিলিয়ে মোট নয়জন নিয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর নেপালে যাচ্ছে বক্সিং দল। থাইল্যান্ডে মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন রহিম, আল-আমিনরা। নেপাল যাওয়ার আগে এ ক’দিন তারা অনুশীলন করবেন পল্টনের মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে।

ঢাকায় ২০১০ সালের আসরে ৬০ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতেছিলেন রহিম। এবার নেপালেও তাকে ঘিরেই দেশের আশা।

২৯ বছর বয়সী বক্সার ভালো করেই জানেন, এই এসএ গেমসই তার শেষ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই সার্জেন্ট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শোনালেন শেষটা রাঙিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।

“আসলে বয়স শেষ। এটাই আমার শেষ ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট। এ জন্য থাইল্যান্ডে খুব পরিশ্রম করেছি। কষ্ট করেছি। সবার আশা থাকে সবচেয়ে বড় পদকটা পাওয়ার, আমারও সেই একই আশা।”

“প্রস্তুতি খুবই ভালো। আমরা থাইল্যান্ডে গিয়েছিলাম এক মাসের ট্রেনিংয়ের জন্য। ওখানে অলিম্পিকের কর্মকর্তারাও গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমাদের লড়াই দেখে তারা খুব খুশি হয়েছেন। পরে আমরা যখন বললাম দেশে না ফিরে এখানেই অনুশীলন চালিয়ে যেতে চাই, তখন তারা রাজি হন।”

থাই ও কিউবার কোচদের অধীনে লম্বা সময়ের অনুশীলন থেকে অনেক কৌশল শেখার কথাও জানালেন রহিম।

“থাইল্যান্ডে থাকার পরিবেশ, খাওয়া, অনুশীলনের সুবিধা, বলে শেষ করা যাবে না। ওদের কোচ ছিল ২১ জন। তিন জন ছিল কিউবার। আমরা পাঁচ দেশের বক্সার ছিলাম ওখানে । এক দিন পর পরই রিংয়ে লড়তে হতো।”

“ওখানে যতজন কোচ ছিলেন, সবাই আমাদের আপন করে নিয়েছিল। এর আগেরবার যখন গিয়েছিলাম, তখন তাদের কাছ থেকে তেমন একটা সাড়া পাইনি আমরা। কিন্তু এবার অনুশীলনে আমরা যখন ভালো করছিলাম, তারা আমাদের নিয়ে খুবই আগ্রহী হয়ে ওঠেন। হাতে ধরে ধরে সবকিছু শেখাতে শুরু করেন। টেকনিক, কিভাবে ঘুষিটা মারতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে, সবকিছু।”

মেয়েদের বক্সিংয়ে গতবার খুব ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। লন্ডন অলিম্পেকে ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় বক্সার মেরি কমের সঙ্গে সেবার প্রতিরোধই গড়তে পারেননি শামীমা। এবার নেপালেও মেয়েদের নিয়ে তেমন প্রত্যাশা নেই। পদক এনে দেওয়ার ভার ছেলেদের কাঁধে। বক্সার আল আমিন জানালেন, ভার বইতে প্রস্তুত তারা।

“প্রস্তুতি ভালো। আমরা যে থাইল্যান্ডে ৪০ দিন ট্রেনিং করেছি, প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখেছি। সবার পারফরম্যান্স ভালো ছিল। সাফে আমরা গোল্ডের আশায় যাচ্ছি। আমি ৬৪ কেজিতে লড়ব; ব্যক্তিগত লক্ষ্য অবশ্যই একটি পদক।”